নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে বড় রদবদল! অগপতে যোগ দিচ্ছেন সিদ্দেক, ইঙ্গিত

মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ৪ আগস্ট : অসমের রাজনীতিতে ফের উত্তাল আবহ!বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি, আর তার আগেই রাজনীতির পালাবদলে এক চমকপ্রদ মোড় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দল থেকে বরখাস্ত প্রাক্তন মন্ত্রী তথা দক্ষিণ করিমগঞ্জ বিধানসভার কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদের। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিতে চলেছেন অসম গণ পরিষদে (AGP) তিনি। এই সিদ্ধান্ত শুধু তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের নতুন দিগন্ত নয়, বরং রাজ্যের সামগ্রিক রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় প্রভাব ফেলতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সিদ্দেকবাবুর কেন এই সিদ্ধান্ত? কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক সিদ্দেকের পথচলার কারণ ব্যাখ্যা করলেন নিজেই। রবিবার গুয়াহাটিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন সিদ্দেক আহমেদ। তাঁর কথায়, আমি কংগ্রেসে আর নেই। সেই দল আমার জন্য এখন আর নিরাপদ নয়। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগেই আমি অসম গণ পরিষদে যোগ দেব। অগপ আমার ভবিষ্যতের পথ। সিদ্দেকের মতে, ব্যক্তিগত সম্মান ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ রক্ষায় এটাই এখন সবচেয়ে বাস্তব সিদ্ধান্ত। ২০১৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জেতার পর থেকে দলের ভেতরেই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে তিনি বর্তমান শাসক দলে ভিড়ছেন না বলে জানান। মুসলিমরা বিজেপির প্রতীক দেখলে ভয় পায় তাই অগপ দলে যোগ দেবার সিদ্বান্ত নিয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনে তিন চার, মাস আগে অগপ দলে যোগদান করবেন।

তাঁর ঘনিষ্ট অনেকের মতে সিদ্দেকের এই দলত্যাগ কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি একটি সামাজিক বার্তাও বয়ে আনে।

সিদ্দেক আহমেদ অসমের একজন প্রভাবশালী নেতা। একাধিকবার নির্বাচনে লড়েছেন এবং জয়ী হয়েছেন। তবে রাজ্যসভার ভোটাভুটিতে তিনি দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার অভিযোগে দলের ভেতরে তাঁকে নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কৃত করা হয়। পরবর্তীতে দলীয় সিদ্ধান্তে উপেক্ষা এবং মনোনয়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা তাঁকে ভিন্ন রাজনৈতিক আশ্রয়ের দিকে ঠেলে দেয়। তিনি সাফ জানিয়ে দেন অগপতে যোগ দিয়ে ২৬ এর  নির্বাচনে অংশ নেবেন। কংগ্রেস এখন আর আমার মতো নেতার জায়গা নয়।

Spread the News
error: Content is protected !!