মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা : কঠোর নিরাপত্তা প্রশাসনের, বিধিনিষেধ কার্যকর
জনসংযোগ, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১১ ফেব্রুয়ারি : আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২৫ ও উচ্চমাধ্যমিক চূড়ান্ত পরীক্ষা ২০২৫-এর স্বচ্ছ ও নকলবিহীন পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাছাড় জেলা প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মৃদুল যাদব কর্তৃক জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩-এর ১৬৩ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ কার্যকর করা হয়েছে, যা পরীক্ষার শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ৪৪টি পরীক্ষাকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা, আর উচ্চমাধ্যমিক চূড়ান্ত পরীক্ষা ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত ২৮টি স্কুল ও কলেজে নেওয়া হবে। এই পরীক্ষাগুলিকে নির্বিঘ্ন ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে প্রশাসন একাধিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশেষত, পরীক্ষাকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে অননুমোদিত ব্যক্তিদের জমায়েত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে শুধুমাত্র অনুমোদিত সহকারী, পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের অনুমোদিত কর্মীরাই প্রবেশ করতে পারবেন।
নিরাপত্তার অংশ হিসেবে পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মোবাইল ফোন (সুইচ অফ অবস্থাতেও), স্মার্টওয়াচ, ফিটনেস ব্যান্ড, ব্লুটুথ ডিভাইস, ইলেকট্রনিক পেন, স্ক্যানার ও ইয়ারফোনসহ যে কোনো প্রযুক্তিগত সামগ্রী সঙ্গে রাখা যাবে না। পাশাপাশি, প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর, পেন ড্রাইভ, মুদ্রিত বা হাতে লেখা নোটসহ যেকোনো ধরনের বই-পুস্তক পরীক্ষা কেন্দ্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলোর মূল লক্ষ্য হলো পরীক্ষায় যেকোনো রকম অনিয়মের সম্ভাবনা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা, যাতে পরীক্ষার শুদ্ধতা ও শৃঙ্খলা অক্ষুণ্ণ থাকে।

পরীক্ষার বিধিনিষেধ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মৃদুল যাদব সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, পরীক্ষার শুদ্ধতা রক্ষার জন্য সকলের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম ও যোগ্যতা যেন সাফল্যের একমাত্র মানদণ্ড হয়, প্রশাসন সে বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

উল্লেখ্য, কাছাড় জেলা প্রশাসনের এই কঠোর পদক্ষেপ পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নিষ্ঠার সঙ্গে পরীক্ষার পরিবেশ রক্ষা করাই প্রশাসনের মূল লক্ষ্য, যাতে শিক্ষার্থীরা নকলবিহীন ও শৃঙ্খলাবদ্ধ পরিবেশে নিজেদের মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করতে পারে।