বসন্ত উৎসবে ছন্দের স্রোত সংস্থার নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৪ মার্চ : ছন্দের স্রোত সংস্থার সদস্য ও সদস্যরাদের উদ্যোগে শিশু উদ্যানে আয়োজিত হল বসন্ত উৎসব। শুক্রবার বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রথমে চৈতন্য মহাপ্রভুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য ও আবির রং অর্পণ সহ গুণীজন সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। মঞ্চে উপবিষ্ট রূপম সামাজিক সংস্থার সভাপতি বিভাস দেব, সম্পাদক নিখিল পাল, কবি-লেখিকা কস্তুরী হোম চৌধুরী, বরিষ্ঠ আইনজীবী বিথীকা আচার্য, টিংকু বৈদ্য, সঙ্গীতা দেব দের সংস্থার পক্ষ থেকে গলায় উত্তরীয় পরিয়ে ও হাতে স্মারক তুলে দিয়ে সম্মান জানান সংস্থার সদস্যরা।
এদিন বক্তব্যে রূপম সামাজিক সংস্থার সভাপতি ড. বিভাস দেব তাঁর শিক্ষকতার সঙ্গে সামাজিকতার বিভিন্ন অংশ তুলে ধরেন। সম্পাদক নিখিল পাল বলেন, এই অঞ্চলে প্রচুর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের জন্ম হয়েছে, কিন্তু সময়ের সাথে কোথাও যেন সেই সংস্থা গুলো হারিয়ে যায়। কিন্তু রূপম সামাজিক সংস্থা আজও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য চলে আসছে, তিনি ছন্দের স্রোত সংস্থাকে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বরিষ্ঠ আইনজীবী বিথীকা আচার্য বলেন, বসন্ত উৎসব, যা হোলি নামেও পরিচিত, ভারতীয় সংস্কৃতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি উৎসব। এটি এমন একটি সময় যখন মানুষ শীতকালকে বিদায় জানায় এবং বসন্তের আগমনকে উন্মুক্ত বাহুতে স্বাগত জানায়। বসন্ত উৎসব আনন্দ, উৎসাহ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীর অনুভূতির সঙ্গে পালিত হয়।


কবি-লেখিকা কস্তুরী হোম চৌধুরী বলেন,এই বসন্ত উৎসব মানুষের অতীতের অভিযোগ ভুলে যাওয়া, ক্ষমা করে ভুলে যাওয়া এবং নতুন করে শুরু করার একটি উপলক্ষ। এটি ঐক্যের চেতনাকে উৎসাহিত করে, মানুষকে তাদের ভাগ করা ঐতিহ্য উদযাপন করতে এবং বসন্তের আগমনের সাথে আসা আনন্দকে আলিঙ্গন করতে একত্রিত করে। এদিন সংস্থার সদস্যরা সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করেন এবং জনান্তিকা ভট্টাচার্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পাঠ করেন ও নৃত্যশিল্পী শ্রীজনী দেব নৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন দেবমিতা চক্রবর্তী এবং সহযোগীতায় ছিলেন সংস্থার পক্ষ থেকে তুহিনা শর্মা, দেবদুলাল চৌধুরী, পঙ্কজকান্তি দে, রাজেশ ধর, সুপর্ণা দত্ত চৌধুরী, সোনালী সিনহা, মানবী দেব, টুসিতা নাথ, দেবশ্রী বিশ্বাস, রাজবীর চৌধুরী প্রমুখ।