২০ ডিসেম্বর থেকে কাটলিছড়ায় পৌষমেলা, আসছেন খ্যাতনামা শিল্পী অর্পিতা চক্রবর্তী
এবি লস্কর, লালা।
বরাক তরঙ্গ, ১৯ ডিসেম্বর : পঞ্চমবারের মতো কাটলিছড়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পৌষমেলা ১৪৩১। আগামী ২০, ২১ এবং ২২ ডিসেম্বর চালমার্স স্মৃতি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বরাক উপত্যকার সাড়া জাগানো অন্যতম পৌষমেলা। গ্রামীণ কৃষ্টি সংস্কৃতির উপর নির্ভর করে মূলত এই মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। পৌষমেলার আনন্দ উপভোগ করতে গ্রাম বরাকের আনাচে কানাচে থেকে মানুষের ভিড় জমে উঠে হাইলাকান্দি জেলার প্রান্তিক অঞ্চল কাটলিছড়ায়। পঞ্চম বারের পৌষমেলাকে সার্থক করতে জোরদার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে মেলা কমিটি। কমিটির তরফে জানানো হয়, বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের বাবা কৌশিকরঞ্জন দে পুরকায়স্থ এবং মা মঞ্জু দে পুরকায়স্থ নামাংকিত স্মৃতি মঞ্চে পৌষমেলার উদ্বোধন হবে।
উন্মোচন হবে “ই-ম্যাগাজিনের”
২০ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১১টায় আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান বিশ্বতোষ চৌধুরী পৌষমেলার উদ্বোধন করবেন। সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ এবং সাংসদ কৃপানাথ মালা, আলগাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক রাহুল রায় সহ আরও বিশিষ্টজনেরা। পৌষমেলায় ব্যাতিক্রমী আয়োজনের মধ্যে রয়েছে কাটলিছড়া অঞ্চলের সত্তর উর্ধ প্রবীণ ব্যক্তিদেরকে সংবর্ধনা এবং “ই-ম্যাগাজিন” উন্মোচন। বিশিষ্ট অথিতিদের হাত দিয়ে উন্মোচন হবে ই-ম্যাগাজিনের। এই বৃহৎ সাংস্কৃতিক সমারোহে গ্রাম বরাকের বিভিন্ন সাদের পিঠেপুলির সঙ্গে থাকবে বৈচিত্র্যময় মনোজ্ঞ লোকসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাবেশ।
প্রথম দিনের বিভিন্ন আঙ্গিকের অনুষ্ঠান গুলির মধ্যে রয়েছে দেওয়াল ম্যাগাজিন উন্মোচন ও চিত্র প্রদর্শনী, লোকসংস্কৃতি ও পৌষমেলা সম্পর্কিত আলোচনাসভা এবং তৎসঙ্গে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনি প্রতিযোগিতা, পরম্পরাগত লোক নৃত্যানুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্থানীয় শিল্পীদের দ্বারা অভিনীত নাটক “বুড়ির ঘরে লাগছে আগুন”। এদিন রাতে শিলচর থেকে আগত বরাকের ভাওয়াইয়া কন্যা তথা বেতার ও দূরদর্শনের বিশিষ্ট শিল্পী মঙ্গলা নাথের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান।
দ্বিতীয় দিন শনিবারের অনুষ্ঠানসূচীর মধ্যে রয়েছে আলপনা প্রতিযোগিতা এবং বিভিন্ন গ্রামীন লুপ্তপ্রায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যোগাসন প্রতিযোগিতা, লোকনৃত্যানুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ। এদিন রাতে শিলচর থেকে আগত জনপ্রিয় বাংলা ব্যান্ড “সেভেন নোটস্” দ্বারা পরিবেশিত বাংলা গানের অনুষ্ঠান।
শেষ দিনের অনুষ্ঠান গুলির মধ্যে রয়েছে যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতা ও শিশুমেলা। এদিনের বিশেষ আকর্ষণ থাকবে কলকাতা থেকে আগত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন জি বাংলা সা-রে-গা-মা-পা খ্যাত বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী শ্রীমতি অর্পিতা চক্রবর্তী পরিবেশিত ভিন্ন আঙ্গিকের সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং ক্যাম্প ফায়ার এবং “পৌষমেলা ১৪৩১” সমাপ্তি ঘোষণা। বিশেষ কারণে অনুষ্ঠানসূচী পরিবর্তন ও পরিবর্দ্ধন হতে পারে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটি। পৌষমেলাকে সর্বাঙ্গীণ সুন্দর ও সার্থক করে তুলতে আয়োজক কমিটির পক্ষে সভাপতি বিদিতরঞ্জন চৌধুরী, সম্পাদক আশিস দাস, স্বরুপ দাস, অসীম দেব, সঞ্জীব নাথ, নিরুপম আচার্য, অলক চক্রবর্তী, মিংকু সেনগুপ্ত, বিরুপাক্ষ সেন সহ কমিটির পদাধিকারীরা সবার উপস্থিতি ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।