সম্প্রতি বাল্যবিবাহ পরিসস্থি নিয়ে আন্তরিক হওয়ার সরকারকে অনুরোধ এমএসএফ-র
বরাক তরঙ্গ, ১৩ ফেব্রুয়ারি : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নির্দেশে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে গোটা রাজ্য জোড়ে চলছে পুলিশের ধরপাকড়। এ বিষয়ে সরকারকে আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে দেশের প্রাধামন্ত্রীর ও রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে স্মারকপত্র প্রদান করলো মাইনোরেটি স্টুডেন্টস ফোরাম। সোমবার এমএসএফের বরাক ভ্যালি জোনের ইনচার্জ বদরুল হকের নেতৃত্বে সংস্থার এক প্রতিনিধি দল করিমগঞ্জের জেলাশাসকের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলাশাসক বিপুল দাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর ও রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে একটি স্মারকপত্র প্রদান করেন। একই সঙ্গে এদিন করিমগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাসের হাতে প্রদত্ত স্মারকপত্রের প্রতিলিপি তুলে দেন অসম পুলিশের ডিজিপি জিপি সিং এর উদ্দেশে।
তারা স্মারকপত্রে উল্লেখ করেন, বাল্যবিবাহ রোধে এমএসএফ সরকারের পক্ষে রয়েছে। সমাজ থেকে এ ব্যাধি দুর করতে তারাও সরকারকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই প্রথাকে দুর করতে সরকারকে আন্তরিক হবার অনুরোধ জানান তারা।
এমএসএফ কর্মকর্তাদের কথায় বাল্যবিবাহ রুখতে সম্প্রতি আচমকা ভাবে সরকারের পক্ষে কঠোর যে পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে এতে জনসমাজে ভয় সহ অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সরকারের এহেন হঠকারি সিদ্ধান্ত অনেকে মানতে দ্বিধাবোধ করছেন।কেননা ২০০৬ সালে বাল্য বিবাহ রোধে আইন বলবৎ করা হলেও তা এতদিন কার্যকর না করে সম্প্রতি আচমকা প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে ধরপাকড়কে নেমে পড়ায় অনেকে প্রমাদ গুণছেন। গত কয়দিনের ধরপাকড়ে অনেক পুরুষ হাজতে চলে যাওয়ায় তাদের পরিবারের লোকেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এই ইস্যু নিয়ে সময়ে সময়ে সরকারের পক্ষে বিশেষ নির্দেশনা জারি সহ চাইল্ড লাইন কর্মীরা এ বিষয় নিয়ে সচেতনতামুলক সভা সমিতি না করায় চলিত আইন নিয়ে আজও অনেকের কাছে বাল্য বিবাহ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা নেই। অনেকে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়ানো সহ আত্মহত্যা পথ বেছে নিচ্ছেন। সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে ভারত সরকারের কাছে এমএসএফ কর্তৃপক্ষের বিনম্র আবেদন রাখেন যে সরকার পুরো বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ২০২২ সালের আগে পূর্ব পর্যন্ত সংঘটিত প্রতিটি বিয়েকে বৈধ বলে আক্ষায়িত করে ২০২৩ সাল থেকে আইনটি বলবৎ করলে সবাই উপকৃত হবেন। এ দিন সংস্থার পক্ষে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাইজার হুসেন ও জয়নাল উদ্দিন।
প্রতিবেদক : মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।