করিমগঞ্জে নৌকা নিয়ে ত্রাণ বণ্টন রামকৃষ্ণ মিশনের

বরাক তরঙ্গ, ৩ জুলাই : মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়িয়ে শিব জ্ঞানে জীব সেবা করার কথা বলেছেন স্বামী বিবেকানন্দ। স্বামীজী বলেছেন পরোপকারই ধর্ম, অপরকে ভালোবাসাই ধর্ম। সমগ্র পৃথিবীতে সকলের মানবিক মূল্য সমান। আর সেই বার্তাকে সামনে রেখে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বানভাসীদের মধ্যে ত্রাণ বণ্টন অব্যাহত রেখেছে করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন। বুধবার দুর্গত এলাকার সড়কগুলি জলমগ্ন থাকার পরে নৌকা করে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে মানুষের কাছে ছুটে যান আশ্রমের সন্ন্যাসীরা।

নলেগড়, নাথুপুর, দিঘিরপার, নয়াপাড়া, পুটিমারা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ৫০০ অধিক বন্যার্থদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী তোলে দেন করিমগঞ্জ আশ্রমের সন্ন্যাসী স্বামী পূর্ণপ্রজ্ঞানন্দ মহারাজ। এদিন মহারাজ বলেন, মানব জীবনে আমরা সমাজ থেকে প্রতিদিন সেবা পেয়ে থাকি। তাই সমাজকেও আমাদের সেবা দেওয়ার দায়িত্ব থেকে যায়। মহারাজ বলেন, বুধবার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে গিয়ে দুর্যোগের মিশনের গাড়ি । এরপর নৌকা করে নিয়ে গিয়ে বানবাসীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় খাদ্য সামগ্রী ।

স্বামী পূর্ণপ্রজ্ঞানন্দ মহারাজ বলেন, রামকৃষ্ণ মিশন এমন একটা প্রতিষ্ঠান যার চারটি স্তম্ভের মধ্যে রয়েছে আধ্যাত্মিকতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং ত্রাণ। আর এই কারনেই মানুষের মধ্যে ঈশ্বর ভিত্তি করে দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মানুষের মানবিক, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণকার্য প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে আসছে। তিনি বলেন, রামকৃষ্ণ মিশন সবসময় আত্ম মানবতার সেবায় গরীবদের পাশে থেকে কাজ করছে। দ্বিতীয় দফার বন্যায় করিমগঞ্জ জেলার মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন। করিমগঞ্জ আশ্রমের সম্পাদক স্বামী প্রভাসানন্দজি নেতৃত্বে  ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন সার্ভে করে তালিকা প্রস্তুত করে সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। বুধবারের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সহযোগিতা করেন স্বেচ্ছাসেবক উত্তম ভট্টাচার্য, কিরণ্ময় দাস, সজল শুক্ল, সুদীপ দাস, মৃনাল দাস সহ অনেকে।

Author

Spread the News