রাখি বন্ধনে ভ্রাতৃত্বের বাঁধন—সেনা সদস্যদের সঙ্গে সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুলের অনন্য উদ্যোগ

মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ১০ আগস্ট : রাখি বন্ধন উৎসবে সেনা সদস্যদের সঙ্গে অনন্য মুহূর্তসেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল পাথারকান্দির বিশেষ উদ্যোগ ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর ভ্রাতৃত্বের অটুট বন্ধনে বাঁধা এক বিশেষ দিন শনিবার রাখি বন্ধনের পবিত্র মুহূর্তে সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল পাথারকান্দির ছাত্রছাত্রীরা পৌঁছে গেল সিক্সটিন ব্যাটেলিয়ানে দেশরক্ষকদের হাতে রাখি পরিয়ে জানাল কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার বার্তা। এদিনটি হয়ে থাকলো  হৃদয়ে অনুপ্রেরণার আলো জ্বালানো এক অমলিন স্মৃতিম।শনিবার রাখি বন্ধন উৎসবের পবিত্র দিনে, সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল পাথারকান্দি এক অসাধারণ ও অনুপ্রেরণামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের নেতৃত্বে একদল উদ্যমী ও আনন্দিত ছাত্রছাত্রী সকালবেলায় রওনা দেয় পাথারকান্দির বিএসএফ এর সিক্সটিন ব্যাটেলিয়ানের প্রধান ফটকের উদ্দেশ্যে। গন্তব্যে পৌঁছে শিক্ষার্থীরা গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার আবেগ নিয়ে দেশের সীমানা পাহারায় নিযুক্ত সেনা সদস্যদের হাতে রাখি পরিয়ে দেয় দেশ রক্ষায় নিয়োজিত সেনা জাওয়াদের হাতে। এর তারা অনুরূপ ভাবে পাথারকান্দির থানায় উপস্থিত হয়ে অসম পুলিশের কর্মরত জাওয়ানদের হাতে রাখী পরান। এই মুহূর্তে ছোট ছোট হাতের রাখি যেন হয়ে উঠেছিল অটুট ভ্রাতৃত্বের প্রতীক যেখানে একদিকে ছিল শিশুর সরল ভালোবাসা, অন্যদিকে দেশের সুরক্ষায় অবিচল প্রহরীর দৃঢ় অঙ্গীকার।সেনা সদস্যরা শিক্ষার্থীদের এই আন্তরিকতার জবাবে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

রাখি বন্ধনে ভ্রাতৃত্বের বাঁধন—সেনা সদস্যদের সঙ্গে সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুলের অনন্য উদ্যোগ

তারা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের পুরো ব্যাটেলিয়ান ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখান, যেখানে শিক্ষার্থীরা সেনাদের শৃঙ্খলা, দৈনন্দিন কাজকর্ম, প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া ও আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহারের সরাসরি অভিজ্ঞতা লাভ করে। শিক্ষার্থীরা সেনা ক্যাম্পের প্রতিটি কোণে দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধের স্পন্দন অনুভব করে। এই সফরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু রাখি বন্ধনের সৌন্দর্য, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের বার্তাই গ্রহণ করেনি, বরং সেনাদের কঠোর পরিশ্রম, আত্মত্যাগ এবং দেশের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসার বাস্তব উদাহরণ প্রত্যক্ষ করেছে।রাখী বন্ধনের এই মহতি অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ছিল গর্ব, আনন্দ ও অনুপ্রেরণার ছাপ। দিনটি সকলের মনে এক অমলিন স্মৃতি হয়ে থাকবে, যা ভবিষ্যতে তাদের জীবনে দেশপ্রেম, মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধ জাগিয়ে রাখবে বলে মনে করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা।

Spread the News
error: Content is protected !!