উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচত রাধাকৃষ্ণণ, পেলেন বাড়তি ভোট
৯ সেপ্টেম্বর : দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন সিপি রাধাকৃষ্ণণ। ১৫২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী এনডিএ (NDA) প্রার্থী। ৭৬৭টি ভোটের মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৪৫২। ৩০০টি ভোট পেলেন ইন্ডিয়ার বি সুদর্শন রেড্ডি।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার কেবলমাত্র সাংসদদের। লোকসভার ৫৪৩ এবং রাজ্যসভার ২৪৫ আসন মিলিয়ে ভারতের সংসদে মোট আসনসংখ্যা ৭৮৮। কিন্তু রাজ্যসভায় ছ’টি এবং লোকসভায় একটি আসন এখন শূন্য রয়েছে। তাই মোট ৭৮১ জন সাংসদকে নিয়ে ‘নির্বাচকমণ্ডলী’ গঠন করা হয়। নবীন পট্টনায়কের দল বিজেডি এবং কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল বিআরএস এই নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে আগেই জানিয়েছিল। ফলে ৭৭০টির বেশি ভোট পড়া যে সম্ভব নয়, তা তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে কোনও প্রার্থী ৩৮৬টি ভোট পেলে যে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিতে যাবেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। পরে জানা যায়, পঞ্জাবে বন্যার কারণে শিরোমণি অকালি দলের একমাত্র সাংসদ হরসিমরৎ কউর বাদলও এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। লোকসভায় এনডিএ-র আসনসংখ্যা ২৯৩, আর রাজ্যসভায় ১৩২। দুয়ে মিলে ৪২৫। তাই এনডিএ প্রার্থী তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন রাজ্যপাল রাধাকৃষ্ণণের জয় একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডিও ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস সমর্থন করবে এনডিএ প্রার্থীকে।
এদিনের নির্বাচনে ক্রস ভোট হয় কিনা সেদিকেও নজর ছিল দেশের। ভোট শেষে বিরোধী শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছিল, কোনো ক্রস ভোট হয়নি। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ দাবি করেন, সংসদের ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন ঘটনা। বিরোধী শিবিরের ৩১৫ জন সাংসদই ভোট দিয়েছেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল প্রত্যাশার তুলনায় ভোট কম পেয়েছে ইন্ডিয়া জোট। আবার এনডিএ শিবির খানিকটা হলেও বেশি ভোট পেয়েছে। ফলে ক্রস ভোটের সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এদিকে পদ্ধতিগত ভুলের জন্য বাতিল হয়েছে ১৫টি ভোট।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল।