উপস্থিত বুদ্ধি ও ভাগ্যের জোরে সপরিবারে বাঁচলেন অধ্যাপক দেবাশিস
২৪ এপ্রিল : কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার মুখে পড়েছিলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস ভট্টাচার্য। পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়ে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন, তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। নিজের চোখের সামনে দেখেছেন এক পর্যটককে গুলি করে খুন করা হচ্ছে। নিজে বেঁচে ফিরেছেন শুধুমাত্র উপস্থিত বুদ্ধি ও ভাগ্যের জোরে।
নিউজ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেবাশিস জানিয়েছেন, জঙ্গিকে আসতে দেখে তিনি ‘কলমা’ পড়তে শুরু করেন। তাঁর আশেপাশে থাকা কয়েকজন মুসলিম পর্যটক গাছতলায় বসে কলমা পাঠ করছিলেন। তাঁদের দেখেই তিনি করে কলমা পাঠ শুরু করেন।
হঠাৎই এক জঙ্গি তাঁদের দিকে এগিয়ে আসে। দেবাশিস বলেন, “আমার পাশে থাকা ব্যক্তির মাথায় গুলি করে। তারপর আমার দিকে তাকায়। তখন আমি আরও জোরে কলমা পড়তে শুরু করি। ও আমাকে জিজ্ঞেস করল, ‘কী করছো?’ আমি উত্তর না দিয়ে শুধু কলমা পড়ে গেলাম। তারপর ও চলে যায়।”
জঙ্গি চলে যেতেই পরিবার নিয়ে বিপরীত দিকে পাহাড়ি পথে হাঁটতে শুরু করেন দেবাশিস। ঘোড়ার পায়ের ছাপ ধরে দুই ঘণ্টার ট্রেকিং করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছোন তাঁরা। পরে ঘোড়ায় চেপে হোটেলে ফিরে আসেন। “আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না যে বেঁচে আছি,”-কাঁপা গলায় বলেন দেবাশিস।
পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় এখনও পর্যন্ত ২৬ জন নিহত, যাঁদের অধিকাংশই পর্যটক। নিহতদের মধ্যে তিন জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। অভিযোগ উঠেছে, হামলাকারীরা ধর্ম দেখে পর্যটকদের টার্গেট করছিল।লশকর-এ-ত্যায়বার শাখা দ্য রেসিসট্যান্স ফোর্স (TRF) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। অসম সরকার ইতিমধ্যেই সেখানে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নিয়েছে এবং হামলার তীব্র নিন্দা করেছে।
