প্রেরণা পুরস্কার শুধু প্রতিভার স্বীকৃতি নয়, এটি আত্মবিশ্বাসের প্রতীক : মৃদুল যাদব
কাছাড়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন
জনসংযোগ, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৪ ডিসেম্বর : আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে কাছাড় জেলা প্রশাসন এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে অন্তর্ভুক্তি এবং সমতার প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। এ বছরের থিম ছিল “ক্ষমতায়নের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নেতৃত্বকে অগ্রগতি প্রদান”, যা অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে প্রতিফলিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সমগ্র শিক্ষা অসম এর অধীনে চালু হওয়া “প্রেরণা পুরস্কার” বিতরণ ছিল দিনের প্রধান আকর্ষণ। পাঁচ বছর আগে চালু হওয়া এই পুরস্কার প্রতিবন্ধী শিশুদের অ্যাকাডেমিক এবং সহ-পাঠ্যক্রমিক দক্ষতা এবং তাদের গঠনে নিযুক্ত শিক্ষকদের অবদানের স্বীকৃতি দেয়।
এ বছর কাছাড় জেলার আটটি শিক্ষাব্লকের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের মোট ১৬ জন বিশিষ্ট শিক্ষক এবং অসাধারণ মেধার অধিকারী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি জেলা কমিশনার কার্যালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিশনার মৃদুল যাদব এবং কাছাড় সমগ্র শিক্ষা-র সহকারী কমিশনার, বহ্নিখা চেতিয়া। সম্মানিত ব্যক্তিদের সার্টিফিকেট ও মেমেন্টো প্রদান করে তাদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
জেলা কমিশনার মৃদুল যাদব তার অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্যে বলেন “সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তি তখনই সম্ভব, যখন প্রতিটি ব্যক্তি, তাদের সক্ষমতা নির্বিশেষে, সমাজে নেতৃত্ব দেওয়ার ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুযোগ পায়। প্রেরণা পুরস্কার শুধু প্রতিভার স্বীকৃতি নয়, এটি আত্মবিশ্বাস, দৃঢ়তা, এবং উৎকর্ষের উদযাপন। আমরা এমন একটি সমাজ গড়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে পারেন এবং একটি স্থিতিশীল ও সমতাপূর্ণ ভবিষ্যৎকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন।”
উল্লেখ্য, এই উদযাপন শুধু এক দিনের নয়, বরং এটি কাছাড়ের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার নিরন্তর প্রচেষ্টার প্রতিফলন। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও তাদের শিক্ষকদের ক্ষমতায়নের উপর জোর দিয়ে প্রেরণা পুরস্কার ইতিমধ্যেই কাছাড়ের শিক্ষাক্ষেত্রে এক মাইলফলক হয়ে উঠেছে।
প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন কাছাড় প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও শক্তিশালী করেছে, যেখানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সাফল্যের পথ প্রশস্ত করার মধ্য দিয়ে একটি উজ্জ্বল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আগামী গড়ার প্রত্যয় স্পষ্ট।