টাইব্রেকারে হারল পর্তুগাল, সেমিতে ফ্রান্স
৬ জুলাই : স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টি সেভের হ্যাটট্রিকে পর্তুগালকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছিলেন দিয়েগো কোস্তা। কিন্তু এদিন আর তাঁর গ্লাভস বাঁচাতে পারেনি রোনাল্ডোদের। শুক্রবার রাতে হ্যামবার্গে টাইব্রেকারে পর্তুগালকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ফ্রান্স। চোখের জলে বিদায় হল রোনাল্ডো, পেপের। গ্যালারিতে বসে তাঁদের সঙ্গে চোখ ভেজালেন লুই ফিগো। টাইব্রেকারে পাঁচে পাঁচ। একশো শতাংশ সাফল্য দিদিয়ের দেশঁর দলের। ফ্রান্সের গোলদাতা ডেম্বেলে, ফোফানা, কুন্ডে, বার্কোলা এবং থিও হার্নান্দেজ। পর্তুগালের হয়ে গোল করেন রোনাল্ডো, বার্নার্ডো সিলভা, নুনো মেন্ডিস। মিস করেন পর্তুগালের জোয়াও ফেলিক্স। তাঁর শট পোস্টে লাগে। এটাই দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিল। নব্বই মিনিটের শেষে গোলশূন্য। ১২০ মিনিটের শেষেও স্কোরলাইনে কোনও পরিবর্তন নেই। শেষমেষ টাইব্রেকারে জিতে সেমিফাইনালে স্পেনের মুখোমুখি ফ্রান্স। পর্তুগালের বিদায়ে ইউরোয় রোনাল্ডো যুগের অবসান হল। শেষবারের মতো মাঠ ছাড়লেন পর্তুগিজ তারকা। স্পেন-জার্মানির পর আরও একটি কোয়ার্টার ফাইনাল গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে দুই ম্যাচের টেম্পোর মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য।
শুক্রবার রাতের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল যতটা উপভোগ্য এবং গতিময়, ফ্রান্স-পর্তুগাল ম্যাচ ঠিক ততটাই ম্যাড়ম্যাড়ে। গোটা ম্যাচে হাতেগোনা সুযোগ। তারমধ্যে নিশ্চিত সুযোগ বলতে দুই থেকে তিনটি। ম্লান ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এবার মেনে নিতেই হবে যে সিআরসেভেনের জমানার অবসান হতে চলেছে। অন্যদিকে কিলিয়ান এমবাপেও সেইভাবে নজর কাড়তে পারেনি। নব্বই মিনিটের শেষে গোলশূন্য। অতিরিক্ত সময়ের বিরতিতে নিজের আর্মব্যান্ড খুলে দেশঁর হাতে ধরিয়ে দেন এমবাপে। তারকা ফুটবলার বুঝিয়ে দেন আর খেলার মতো অবস্থায় নেই তিনি। পর্তুগালের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে মুখের ডানদিকে বল লাগে ফ্রান্সের অধিনায়কের। নাক ধরে বেশ কিছুক্ষণ মাঠেই শুয়ে থাকেন। এদিন ১০৫ মিনিটের ফুটবল খেলার পরই বেঞ্চে বসে নাকে আইস প্যাক লাগাতে দেখা যায় তাঁকে।