পাথারকান্দির সাংবাদিক রঞ্জিত সিনহা পেলেন ভাষা গৌরব সম্মান
বরাক তরঙ্গ, ২২ মার্চ : পাথারকান্দি অঞ্চলের বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি কবি -সাহিত্যিক ও সাংবাদিক রঞ্জিত সিনহা এবার পেলেন ভাষা গৌরব সম্মান। গুয়াহাটি মহানগরীর পাঞ্জাবারির শিল্পগ্ৰামে বিষ্ণুপ্ৰিয়া মণিপুরি সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে ভাষা শহিদ সুদেষ্ণা সিনহার ৩০তম শহিদ দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বিশেষ আলোচনাচক্ৰে বিষ্ণুপ্ৰিয়া মণিপুরি ভাষার কবি ও সাংবাদিক রঞ্জিত সিনহাকে অসম চরকারের ভাষা গৌরব স্কিমের অন্তর্ভুক্ত “ভাষা গৌরব সম্মান -২০২৫” প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে কবি রঞ্জিত সিংহের হাতে সম্মাননা প্রদান করেন অসম সাহিত্য সভার প্ৰাক্তন উপ-সভাপতি তথা অবসরপ্ৰাপ্ত প্ৰশাসনিক আধিকারিক কনকচন্দ্ৰ শৰ্মা, রাভা-হাছং স্বায়ত্ব শাসিত পরিষদের প্ৰাক্তন মুখ্য কাৰ্যবাহী সদস্য তথা লোক সংস্কৃতির গবেষক ড. শরৎ চন্দ্ৰ রাভা এবং বাংলা সাহিত্য সভার সাধারণ সম্পাদক তথা কটন মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্ৰশান্ত চক্ৰবৰ্তী।
উল্লেখ্য, কবি রঞ্জিত সিনহাকে ২০২৩ সালে বিষ্ণুপ্ৰিয়া মণিপুরি ভাষা এবং সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ত্রিপুরা সরকারের সংখ্যালঘু ভাষা উন্নয়ন অধিদপ্তরও ত্রিপুরার কমলপুরে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সম্মান-স্মারক প্রদান করেন। রঞ্জিত সিংহর প্রথম কাব্যগন্থ “মোর ইমার ঠার মোর প্রেমর কবিতা” প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। কবি সিনহার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বিষ্ণুপ্ৰিয়া মণিপুরি সাহিত্য জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে।রঞ্জিত সিনহার বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষায় প্রথম হাইকু কবিতা রচনা করে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সাহিত্য ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করেন। তিনি বিভিন্ন আঙ্গিকে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষায় সনেট রচনা করেছেন। সনেট রচনার প্রচলিত গঠন-শৈলীর বাইরেও সনেট রচনা করা সম্ভব, তা কবি রঞ্জিত সিংহ তার ‘নতুন দিগন্ত প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশিত “তরে বিসারেয়া আহিগি মামইল” সনেট কাব্যগ্রন্থে দেখিয়েছেন।
রঞ্জিত সিনহার এই সম্মানে পাথারকান্দি তথা সমগ্র পাথারকান্দি অঞ্চলের বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সমাজ গৌরব বোধ করছেন। কবি রঞ্জিত সিনহা প্রাপ্ত পুরস্কার পাথারকান্দি অঞ্চলের বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি জনগণের নামে উৎসর্গ করেছেন। তিনি আসাম সরকারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এই সম্মানের জন্য বিষ্ণুপ্ৰিয়া মণিপুরি সাহিত্য পরিষদ অসম সরকার ও তার পাঠকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কবি রঞ্জিত সিনহার জন্ম পাথারকান্দি অঞ্চলে দক্ষিণ বিলবাড়ি গ্রামে। তিনি অরুণাচল প্রদেশের ‘অরুণাচল টাইমস’ নামের ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় অ্যাসোসিয়েট এডিটর হিসেবে কাজ করছেন।
