“কৃষকদের সরাসরি উপকৃত করতে এমন দীর্ঘমেয়াদি ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তোলা আমাদের অঙ্গীকার” : ডিসি

জনসংযোগ, শিলচর।  
বরাক তরঙ্গ, ২৩ জুলাই : “আমরা এমন দীর্ঘমেয়াদি ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর যা আমাদের কৃষক ও সমবায় সদস্যদের সরাসরি উপকৃত করবে,” বুধবার শিলচরে অনুষ্ঠিত জেলা সমবায় উন্নয়ন কমিটি (ডি.সি.ডি.সি) বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে গিয়ে এ কথা বলেন জেলা আয়ুক্ত,  মৃদুল যাদব, আই.এ.এস। জেলা উন্নয়ন আয়ুক্ত,  নরসিং বে, নাবার্ড, এফসিআই, দুগ্ধ ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তিনি জানান, সরকারের লক্ষ্য হল আধুনিক পরিকাঠামো, আর্থিক প্রণোদনা ও  প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে গ্রামীণ সমাজকে ক্ষমতায়িত করা।

বৈঠকে বিশ্বের বৃহত্তম শস্যাগার প্রকল্পের আওতায় বড় আকারের গোডাউন নির্মাণ, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সমৃদ্ধি কেন্দ্র (পিএমকেএসকে) চালু, পিএস-এর কম্পিউটারাইজেশন, প্রতি লিটারে ৫ দুগ্ধ ভর্তুকি ও পিএমএফএমই ক্ষুদ্র খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।

“কৃষকদের সরাসরি উপকৃত করতে এমন দীর্ঘমেয়াদি ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তোলা আমাদের অঙ্গীকার” : ডিসি

সভায় জানানো হয় এফসিআই-এর মানদণ্ড অনুযায়ী পিএসসিএস (প্রাইমারি এগ্রিকালচারাল ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি) ৫০০০ মেট্রিক টনের লক্ষ্য নিয়ে গোডাউন নির্মাণ করবে। নাবার্ড-এর তথ্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত এই প্রকল্পে ৩৩% ভর্তুকি, ৩% সুদ সহায়তা ও অন্যান্য সুবিধা থাকবে। স্থান চূড়ান্তকরণ শীঘ্রই সম্পন্ন করবে এফসিআই, যাতে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ ও অপচয় রোধ করা যায়।

এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে, পিএমকেএসকে প্রকল্পে কাছাড়ের ৯টি পিএসসিএস ইতিমধ্যেই সার বিক্রির লাইসেন্স পেয়েছে এবং কৃষি বিপণন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর ফলে পিএসসিএসগুলি কৃষকদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

“কৃষকদের সরাসরি উপকৃত করতে এমন দীর্ঘমেয়াদি ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তোলা আমাদের অঙ্গীকার” : ডিসি

দুগ্ধ প্রকল্প নিয়ে জেলা আয়ুক্ত  বলেন, “প্রতি লিটারে ₹৫ ভর্তুকি প্রদানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, তবে ঘুঙুর দুগ্ধ প্লান্ট চালু না থাকায় প্রকল্পে বিলম্ব হচ্ছে।” তিনি জানান, সমস্যা দ্রুত সমাধান করে ভর্তুকি চালু করা হবে।

উল্লেখ্য, পিএমএফএমই প্রকল্পের আওতায় মারখাউলেইন মাল্টিপারপাস এগ্রি প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি ৭০ লক্ষের ক্ষুদ্র খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট স্থাপনের জন্য আবেদন করেছে, যা স্থানীয় কর্মসংস্থান ও মূল্য সংযোজন বাড়াবে।

বৈঠকে জানানো হয়, কাছাড়ের সমবায় আন্দোলনও এখন ডিজিটাল রূপান্তরের পথে। ৩২টি পিএসসিএস কম্পিউটারাইজেশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৯টি ই-পিএসসিএস হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় জেলায় নতুন ১২টি মাল্টিপারপাস পিএসসিএসও নিবন্ধিত হয়েছে।

বৈঠকের সমাপ্তিতে আয়ুক্ত মৃদুল যাদব সকলকে আহ্বান জানান, “কৃষকবান্ধব সমবায় ব্যবস্থার জন্য সকলে একসঙ্গে কাজ করুন, যা গ্রামীণ সমাজের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।”

Spread the News
error: Content is protected !!