চাকরির প্রথম দিন অফিস গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না আরফিনের

১০ ডিসেম্বর : জীবনের প্রথম, চাকরির প্রথম দিন। ঘরের সক্কলে খুশি। আনন্দে উচ্ছ্বল সদ্য যুবতী আফরিন। সকলের শুভেচ্ছা নিয়ে নাচতে নাচতে প্রথম অফিস গিয়েছিলেন আফরিন। ১৯ পেরিয়ে সদ্য ২০-র কোঠায় পা রাখা আফরিন শাহ অফিসে প্রথম দিন কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন।

অফিস থেকে বেরতে একটু দেরি হওয়ায় বাড়ি ফেরার অটো রিকশা পাচ্ছিলেন না। সেই সময় বাবাকে ফোন করেন আফরিন। তাঁর কাছে জানতে চান কী করব? বাবা মেয়েকে পরামর্শ দেন যে, হেঁটে কুরলা স্টেশনে চলে যেতে। দুজনের কথা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বাবার মোবাইলে আবার ফোন আসে। এবার তাঁকে ফোন করে জানানো হয়, হাসপাতালে এসে মেয়ের দেহ শনাক্ত করতে।

ঠিক এইভাবেই সোমবার রাতে মুম্বইয়ের বাস দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে সাতটি তরতাজা জীবন। যার মধ্যে ছিলেন আফরিন শাহ। বেপরোয়া গতির বেস্ট বাস এসে পিষে দিয়ে যায় পথচলতি যাত্রী ও গাড়ির সওয়ারিদের। কুরলা পশ্চিমের এসজি বারভে রোডে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যারাতে।

তিনি জানান, পৌনে ১০টা নাগাদ মেয়ের ফোন থেকে আবার ফোন আসে। ভাবা হাসপাতালের এক কর্মী আমাকে হাসপাতালে চলে আসতে বলেন। ছুটে গিয়ে দেখেন মেয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। রাগে-কান্নায় তিনি বলেন, এই এলাকায় রাস্তা দিয়ে লোক হাঁটতে পারে না। বছরে পর বছর ধরে একই পরিস্থিতি। অবৈধ পার্কিং, হকারি, মেট্রো রেলের কাজ ও অন্যান্য বেআইনি কাজকারবার চলে অবাধে। সরকারের উচিত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার।

ওই দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে কান্নিস আনসারির। ৫৫ বছরের এই প্রৌঢ়া হাসপাতালের নাইট ডিউটি করতে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় আরও যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাঁরা হলেন, আনাম শেখ, শিবম কাশ্যপ, বিজয় গায়কোয়াড় এবং ফারুক চৌধুরি। বৃহন্মুম্বই ইলেকট্রিক সাপ্লাই অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট সংক্ষেপে বেস্ট পাস ঘন জনবসতি এলাকায় বেপরোয়াভাবে ধাক্কা মারলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সাতজনের মৃত্যু ছাড়াও ৪৯ জন এই দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন। চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খবর : দ্যা ওয়াল।

চাকরির প্রথম দিন অফিস গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না আরফিনের

Author

Spread the News