৫৪৩ জন সাংসদের মধ্যে ২৫১ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা
১১ ফেব্রুয়ারি : রাজনীতির অপরাধীকরণ সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টে তথ্য পেশ করা হয়েছিল। সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ৫৪৩ জন লোকসভা সদস্যদের মধ্যে ২৫১ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঝুলে আছে। তাঁদের মধ্যে ১৭০ জনের বিরুদ্ধে ৫ বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডের শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। সিনিয়র আইনজীবী বিজয় হানসারিয়া বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং মনমোহনের বেঞ্চে ৮৩ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, যা বিভিন্ন হাইকোর্টের তথ্য ব্যবহার করে প্রস্তুত করা হয়েছিল। এই তথ্য অনুযায়ী, কেরলের ২০ জন সাংসদের মধ্যে ১৯ জনের (৯৫%) বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি গুরুতর মামলা।
তেলেঙ্গানার ১৭ জন সাংসদের মধ্যে ১৪ জনের (৮২%) বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন। ওড়িশার ২১ জন (৭৬%) সাংসদের মধ্যে ১৬ জন, ঝাড়খণ্ডের ১৪ জনের মধ্যে ১০ জন (৭১%) এবং তামিলনাড়ুর ৩৯ জন (৬৭%) সাংসদের মধ্যে ২৬ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, কর্ণাটক, অন্ধ্র প্রদেশের প্রায় ৫০% সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
তথ্য অনুসারে, হরিয়ানার ১০ জন এবং ছত্তিশগড়ের ১১ জন সাংসদের মধ্যে মাত্র একজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। পঞ্জাবের ১৩ জন সাংসদের মধ্যে ২ জন, অসমের ১৪ জনের মধ্যে ৩ জন, দিল্লির ৭ জনের মধ্যে ৩ জন, রাজস্থানের ২৫ জনের মধ্যে ৪ জন, গুজরাতের ২৫ জনের মধ্যে ৫ জন এবং মধ্যপ্রদেশের ২৯ জন সাংসদের মধ্যে ৯ জনের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের মতে, রাজনীতির অপরাধীকরণকে একটি বড় সমস্যা। আদালত প্রশ্ন তোলে, ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর একজন ব্যক্তি কীভাবে সংসদে ফিরে আসতে পারেন? বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং মনমোহনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাই এই বিষয়ে ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেলের সাহায্য চেয়েছে। দেশের সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি এবং দোষী সাব্যস্ত রাজনীতিবিদদের আজীবন নিষেধাজ্ঞার দাবিতে অ্যাডভোকেট অশ্বিনী উপাধ্যায়ের দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছিল এই বেঞ্চে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ এবং ৯ ধারার সাংবিধানিক বৈধতার চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আদালত তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জবাব চেয়েছে।

