নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া

১৭ মার্চ : ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্তের প্রস্তাব দিয়েছেন, যা বিরোধীদের সঙ্গে তার সরকারী জোটের সম্পর্ককে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের হামলার ব্যর্থতা নিয়ে শিন বেতের অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর থেকেই এই টানাপোড়েন চলছিল।

রবিবার এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, “আমি সরকারের কাছে শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্তের প্রস্তাব দিচ্ছি। বর্তমানে ইসরায়েল অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে রয়েছে, তাই প্রধানমন্ত্রী ও নিরাপত্তা প্রধানের মধ্যে সম্পূর্ণ আস্থা থাকা জরুরি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই আস্থা আর নেই।” তার এই প্রস্তাব বুধবার সরকারের বৈঠকে আলোচনার জন্য তোলা হবে বলে জানিয়েছে ইজরায়েলের চ্যানেল ১২।

ইজরায়েলের বিরোধী দলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ এই সিদ্ধান্তকে “লজ্জাজনক” বলে মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন, নেতানিয়াহু জাতীয় নিরাপত্তার চেয়ে নিজের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু দায় এড়াতে চাইছেন, কিন্তু সত্য লুকোনো যাবে না। ৭ অক্টোবরের ব্যর্থতার জন্য তিনিই প্রধান দায়ী।” লাপিদ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে, বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটস পার্টির প্রধান ইয়ায়ির গোলান এক্স -এ লিখেছেন, “নেতানিয়াহু তদন্ত বন্ধ করতে চাইছেন, কারণ এতে তার ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে সন্দেহজনক সম্পর্ক প্রকাশ পাচ্ছে। তিনি ক্রমশ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের দমন করার চেষ্টা করছেন।” অন্যদিকে, সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গান্তজ বলেছেন, “এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর এবং এটি রাজনৈতিক স্বার্থের জন্যই নেওয়া হয়েছে।”

নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া

অন্যদিকে, নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির যোগাযোগমন্ত্রী শলোমো কারহি বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “রোনেন বার একজন স্বৈরাচারী কর্মকর্তা, যার উপস্থিতি ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।” উগ্র ডানপন্থী নেতা ইতামার বেন-গভির এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, “এটি দেরিতে হলেও সঠিক সিদ্ধান্ত।” তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদাঙ্ক অনুসরণ করে “গভীর রাষ্ট্রের” (Deep State) বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
খবর : দৈনিক ইনক্লাব পত্রিকা ডিজিটাল।

Spread the News
error: Content is protected !!