২১শে জুলাই শহিদ দিবসে ভাবগম্ভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নেতাজি সংঘের

মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২১ জুলাই : ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাল পাথারকান্দি কেন্দ্রের অগ্রণী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাজারিছড়ার কালাছড়া নেতাজি সংঘ। সোমবার সংস্থার নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহ নেতাজি অডিটোরিয়ামে এক স্নিগ্ধ পরিবেশে কচিকাঁচা শিশুদের উপস্থিতিতে শহিদ জগন-যিশুর স্মরণে আয়োজিত হয় এক স্মরণীয় অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেতাজি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দেবপ্রিয় নাগ, প্রাক্তন সভাপতি ও সংস্থার চিরস্মরণীয় হিতৈষী অমিতাভ দে, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অমিত দেব, স্বামী বিবেকানন্দ লিটিল ফ্লাওয়ার স্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় পাল, ছাত্রনেতা প্রদীপ দেবনাথ, সমাজকর্মী দীপক বর্ধন-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

২১শে জুলাই শহিদ দিবসে ভাবগম্ভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নেতাজি সংঘের

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংঘের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত বিধানসভা ভিত্তিক গ্রীষ্মকালীন সাংস্কৃতিক কর্মশালার ছাত্রছাত্রীরা।অনুষ্ঠানের সূচনালগ্নে শহিদ জগন্ময় দেব ও দিব্যেন্দু দাস-এর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মধ্য দিয়ে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।পরবর্তীতে, ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে একটি অনবদ্য বক্তব্য রাখেন অমিতাভ দে। তিনি বলেন, আজ আমরা গর্বের সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে পারছি, তা সম্ভব হয়েছে ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের জন্যই। ১৯৬১ সালের ১৯শে মে শিলচরে ১১ জন তরুণ প্রাণের আত্মবলিদান, আর ১৯৮৬ সালের ২১শে জুলাই জগন যিশুর শহিদ হওয়া এই সবই মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে এই ইতিহাস পৌঁছে দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

২১শে জুলাই শহিদ দিবসে ভাবগম্ভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নেতাজি সংঘের

তিনি আরও জানান, সদ্য রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বরাক উপত্যকার তিন জেলায় সরকারি কাজকর্মে বাংলা ভাষার ব্যবহারকে স্বীকৃতি দিয়ে যে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন, তা অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ। এর জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে সমবেত কণ্ঠে উচ্চারিত হয়।শহিদ তুমি অমর রহো”, মাতৃভাষা বাংলা ভাষা জিন্দাবাদ! এই ধ্বনিতে প্রাঙ্গণ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে মাতৃভাষা প্রেম ও দেশপ্রেমের উজ্জ্বল সুর।

Spread the News
error: Content is protected !!