আধার কার্ড ও ডি-ভোটার ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া সাংসদ সুস্মিতার
বরাক তরঙ্গ, ১৩ সেপ্টেম্বর : মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সম্প্রতি একটি মন্তব্য করে বলেছেন, আধার কার্ড হিন্দু বাঙালিদের দিয়ে দেবেন। এবং ভোটার সূচি থেকে “ডি-ভোটার” সরিয়ে দেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই দু’টি ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে সাংসদ সুস্মিতা দেব বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিহারে যখন “স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন”অর্থাৎ “এসআইআর” শুরু হলো তখন জাতীয় স্তরে ভারতীয় জনতা পার্টি, ইলেকশন কমিশন অফ ইণ্ডিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে আধার কার্ড দিয়ে নাগরিকত্ব হবে না এবং এটা নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় বলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অসমের হিন্দু বাঙালিদের আধার কার্ড দিয়ে সন্তুষ্ট করতে চাইছেন, অথচ তিনি বলেছিলেন যে ১ অক্টোবর থেকে কোন আধার কার্ড অসমে দেওয়া হবে না। এদিকে “ডি-ভোটার” ইস্যুটি উঠিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, সে প্রসঙ্গে সুস্মিতা দেব জানান, ডি-ভোটার ইস্যুটি ১৯৯৭সালে ইলেকশন কমিশন অব ইন্ডিয়ার তরফে দেশে কার্যকর করা হয়েছিল। ভোটার তালিকা থেকে ডি-ভোটার সরানোর ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর কোন ক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছেন সুস্মিতা দেব।
আসন্ন শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর অসমে যখন “এসআইআর” শুরু হবে তখন ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়াকে কাগজ দেখাতে হবে এবং কমিশন কি করবে কি না সেটা সিদ্ধান্ত নেবে। তাই বলে মুখ্যমন্ত্রী আধার কার্ড দিয়ে দেবেন এবং “ডি-ভোটার” সরিয়ে দেবেন বলে যেভাবে মন্তব্য করছেন সেটা শুধু হিন্দু বাঙালিদের বোকা বানানো ছাড়া আর কিছু নয় বলে মন্তব্য সুস্মিতার। কারণ আধার কার্ড ভারত সরকারের এক্তিয়ারে এবং “ডি-ভোটার” ইলেকশন কমিশন অফ ইণ্ডিয়ার এখতিয়ারে রয়েছে। তিনি আরও জানান স্ট্যান্ডার অপারেটিং প্রোসিজিওর যখন আসবে, তখন স্থানীয় জেলা কমিশনার মানুষকে ১০দিনের সময় দেবেন কাগজ দেখানোর জন্য। কাগজ দেখাতে না পারলে মানুষকে হয়তো বাংলাদেশ যেতে হবে নাহলে ডিটেনশন ক্যাম্পে ডিপোটেশন করা হবে। এনআরসি ছুট যারা রয়েছেন এবং “সিএএ” অর্থাৎ “কা”২০১৪র আগে আসা যাদের সুরক্ষা দিচ্ছে তাঁদের প্রত্যেককে কা-তে আবেদন করতে হবে এবং বাংলাদেশের কাগজ দেখাতে হবে। এই পরিস্থিতিতে হিন্দু বাঙালিদের সুরক্ষা প্রদান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা যে মন্তব্য করছেন সেটার কোন আধার নেই বলে সাফ জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব।