মাসব্যাপী ‘ক্লাবফুট’ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা কার্যসূচির সূচনা কাছাড়ে
বরাক তরঙ্গ, ৭ জুন : কাছাড় জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাবফুট (জন্মগত পা বাঁকা) শিশু শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা কার্যসূচি মাসের সূচনা করলো এনএইচএম-এর রাষ্ট্রীয় শিশু স্বাস্থ্য কার্যসূচি (আরবিএসকে)। শুক্রবার সতীন্দ্রমোহন দেব মেমোরিয়াল সিভিল হাসপাতাল চত্বরস্থিত আমসা হাউসে এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন জেলার অতিরিক্ত আয়ুক্ত (স্বাস্থ্য) ড০ খালেদা সুলতানা আহমেদ ও জেলার যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক ডাঃ আশুতোষ বর্মন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দিনটি উদযাপনের প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ে উপস্থিত জনসমক্ষে আলোকপাত করেন এনএইচএম-র জেলা সংযোজক ইকবাল বাহার লস্কর।
৩ জুন বিশ্ব ক্লাবফুট দিবস উপলক্ষে জেলার আটটি স্বাস্থ্য খণ্ডে বিশেষ স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা শুরু হয়েছে। যদিও আরবিএসকে-র অধীনে এটা এক নিয়মিত কার্যসূচি। কিন্তু এবারে এই দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী বিশেষ কার্যসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জন্মগত পা বাঁকার এই ক্রুটি জন্মের পরেই চিকিৎসা করালে শিশু খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যায় এবং আর বিএসকে-র মাধ্যমে সেটা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হয় বলে জানান সংযোজক ইকবাল বাহার লস্কর। অনুষ্ঠানে জেলার যুগ্ম স্বাস্থ্য সঞ্চালক ডাঃ আশুতোষ বর্মন বলেন, রাজ্যের মিশন সঞ্চালক এস লক্ষ্মীপ্রিয়ার নির্দেশে এ ব্যাপারে মাসব্যাপী কার্যসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এজন্য আরবিএসকে-র ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য দল তাদের নিজস্ব নিয়মিত কার্যসূচির পাশাপাশি ক্লাবফুট বিষয়ে তৃণমূল স্তরে সচেতনতা অভিযান আরম্ভ করে এবং ব্লক স্তরে এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়।
বন্যা ও জেলায় ভোট গণনার জন্য যদিও সঠিক সময়ে জেলাভিত্তিক উন্মোচন সম্ভব হয়ে উঠেনি। তবে এর কার্যসূচি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতেই শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, সামান্য ক্রুটির জন্য একটা শিশু সারা জীবন পঙ্গু হয়ে থাকে। অথচ জন্মগত এই বিসঙ্গতি সহজে সারাই করা সম্ভব। অনুষ্ঠানে ড০ খালেদা সুলতানা এ ব্যাপারে সাধারণ জনগণকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সরকারের সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, গত অর্থ বছরে আরবিএসকে কার্যসূচির অধীনে এধরনের ২৭টি শিশুর সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়েছে। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এর চিকিৎসা করা হয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে এনএইচএমের মিডিয়া এক্সপার্ট ড০ গুলবাহার রাজ, শিলচর মেডিকেল কলেজের জিএনএম প্রশিক্ষার্থী, স্বাস্থ্য বিভাগের ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।