কলকাতায় সেনাপতি সম্মেলনে প্রতিরক্ষা সংস্কারে গুরুত্ব মোদির

১৫ সেপ্টেম্বর : দ্রুত বদলে যাচ্ছে প্রতিরক্ষাক্ষেত্র। যুদ্ধ আজ আর সীমান্তে গুলি চালনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, যুদ্ধে সাফল্যের অবশ্য শর্ত হিসেবে উঠে এসেছে প্রযুক্তির ব্যবহার। সোমবার কলকাতায় ১৬তম কম্বাইন্ড কম্যান্ডার্স কনফারেন্সের (Commanders’ Conference) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেখানেই তিনি উদীয়মান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দ্রুত প্রতিরক্ষা সংস্কার এবং সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

প্রতি ২ বছরে অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন। যেখানে জাতীয় নিরাপত্তা এবং কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য সিনিয়র সামরিক কমান্ডার এবং শীর্ষ অসামরিক নেতৃত্ব উপস্থিত থাকেন। এই বছরের সম্মেলনের মূল ভাবনা হল ‘সংস্কারের বছর-ভবিষ্যতের জন্য রূপান্তর’। যা প্রতিরক্ষা খাতে আধুনিকীকরণ, যৌথতা এবং স্বনির্ভরতার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এবং এক্ষেত্রে সরকার যে পুরোপুরি সদর্থক এদিন তা জানিয়ে দেন মোদি।

প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁর ভাষণে অপারেশন সিঁদুরের সফল বাস্তবায়নের পাশাপাশি জাতি গঠন, মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ সঙ্কুল এলাকায় ত্রাণ  বিলি এবং বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। ২০২৫ সালকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ‘সংস্কারের বছর’ হিসেবে চিহ্নিত করে, প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে ভবিষ্যতের হুমকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যৌথ ব্যবস্থাপণা, আত্মনির্ভরতা এবং উদ্ভাবনের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আগামী দুই দিন ধরে, সম্মেলনে কাঠামোগত, প্রশাসনিক এবং অপারেশনাল বিষয়গুলির একটি বিস্তৃত পর্যালোচনা করা হবে। আলোচনার মধ্যে থাকবে বিভিন্ন পরিষেবা থেকে প্রতিক্রিয়া, ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রস্তুতির মূল্যায়ন এবং প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের কৌশল।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল।

Spread the News
error: Content is protected !!