৩৫ হাজার ৪৪০ কোটি টাকার কৃষিপ্রকল্পের উদ্বোধন মোদির
১১ অক্টোবর : সামনেই বিহার বিধানসভার নির্বাচন। তার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের কৃষিক্ষেত্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালু করলেন। শনিবার, বিহারের ছাপরা জেলার ভূমিপুত্র তথা রাজনৈতিক নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের জন্মদিনে মোট ৩৫ হাজার ৪৪০ কোটি টাকার কৃষিপ্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কৃষি, পশুপালন, মৎস্য এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে ৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকার প্রকল্প এবং ৮১৫ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী দিনে খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং ডাল উৎপাদনে স্ব-নির্ভরতা গড়ে তোলার কাজে এই প্রকল্পগুলি সহায়ক হবে বলে দাবি করা হয়েছে।
ডাল উৎপাদনে ১১ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে, যার লক্ষ্য হবে বর্তমানের ২৫২.৩৮ লক্ষ টন থেকে আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৩৫০ লক্ষ টন ডাল উৎপাদন করা। এতে দেশের আমদানি নির্ভরতা কমবে। ২৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ধনধান্য কৃষি যোজনায়। দুটি প্রকল্পই ক্যাবিনেটে আগেই অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। আগামী রবি মরশুম থেকেই তা চালু হবে।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় মোদি একইভাবে পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে কৃষিতে নজর না দেওয়ার জন্য নিশানা করেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন আগের ইউডিএফ সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন কৃষিকাজকে উপেক্ষা করা হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই কৃষিক্ষেত্র ও কৃষকদের উন্নয়নের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে।
আগামী ৬ নভেম্বর বিহারে প্রথম দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে ১১ নভেম্বর। ফল ঘোষণা ১৪ নভেম্বর।মএরপরে আগামী বছরে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরির ভোট। এর মধ্যে পুদুচেরি বাদ দিলে বাকি সব রাজ্যের মানুষই কৃষিজমির উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও ভোটারদের বেশিরভাগ কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত। অসমে বিজেপি সরকার থাকলেও কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ুতে বিরোধী সরকার রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোদী সরকারের প্রকল্প ভোটে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।