সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে, বরাক উপত্যকার চা শিল্প পর্যালোচনায় মন্ত্রী রূপেশ
জনসংযোগ, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৭ মার্চ : শ্রমকল্যাণ, কারাগার, হোমগার্ড, সিভিল ডিফেন্স এবং চা-জনগোষ্ঠী ও আদিবাসী কল্যাণ বিভাগের মন্ত্রী রূপেশ গোয়ালা সোমবার বরাক উপত্যকার তিন জেলা কাছাড়, শ্রীভূমি ও হাইলাকান্দির চা শিল্প এবং চা শ্রমিকদের কল্যাণ সংক্রান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠকের নেতৃত্ব দেন। কাছাড় জেলা আয়ুক্তের কার্যালয়ের নতুন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই সভায় বিভিন্ন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন, যেখানে চা শিল্পের বর্তমান সমস্যা নিরসনে ও তার ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার পাশাপাশি বরাক উপত্যকার চা-বাগান ও শ্রমিকরা আসামের চা শিল্পকে শক্তিশালী ও গতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তাঁদের এই অসামান্য অবদানকে সম্মান জানিয়ে আলোচনায় মূলত স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং শ্রমিকদের সামগ্রিক কল্যাণের দিকগুলিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং প্রবীণ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে চা শিল্পের নানা সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের বিভিন্ন উপায় এবং ভবিষ্যতে চা শিল্প উন্নয়নের জন্য নানা কৌশল নির্ধারণ করা হয়।

মন্ত্রী গোয়ালা সরকারের পক্ষ থেকে চা শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার এবং উন্নততর স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা বিধানে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত করতে বিভিন্ন দপ্তরকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং আসন্ন দিনগুলিতে একাধিক লক্ষ্যভিত্তিক উদ্যোগ বাস্তবায়নের কথা ঘোষণা করেন।

এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য, গণবণ্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক, খনি ও খনিজ সম্পদ এবং বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী কৌশিক রায়, শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, উধারবন্দের বিধায়ক মিহিরকান্তি সোম, শ্রম বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব কল্যাণ চক্রবর্তী, কাছাড় জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব এবং বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ গোয়ালা। তাঁদের মূল্যবান মতামত ও সুপারিশের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি শিল্পের স্থিতিশীলতা রক্ষায় একটি কাঠামোবদ্ধ ও ফলপ্রসূ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়।
উল্লেখ্য, বরাক উপত্যকার চা শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিল্পের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের স্বার্থে একাধিক সংস্কারমুখী নীতি বাস্তবায়নে সরকার অগ্রসর থাকবে।