পাথারকান্দির বেহাল বাঁধ পরিদর্শনে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল

শুক্রবার শ্রীভূমিতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ৪ জুন : পাথারকান্দিতে ভাঙা বাঁধ, বিধ্বস্ত মানুষের খোঁজ নিতে পৌঁছলেন মৎস্য, পশুপালন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী তথা পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল। বুধবার দুপুরে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল সরাসরি পাথারকান্দির উত্তর বিলবাড়ি অঞ্চলের বেহাল বাঁধ পরিদর্শনে পৌঁছে যান। এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সার্কল অফিসার বলীনবাবা বালারি, জলসম্পদ দফতরের আধিকারিকগণ, দলীয় কর্মীবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ভাঙা বাঁধের আশেপাশের পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখে তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতাকে তুলে ধরেন।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, এই ক’দিনের টানা বর্ষণে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বরাক উপত্যকার তিন জেলা কাছাড়, শ্রীভূমি ও হাইলাকান্দিতে বন্যার জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন। কোথাও কোথাও একদিনে ৫০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই ভয়াবহ অবস্থার গুরুত্ব অনুধাবন করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সবসময় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। মন্ত্রী পালবাবু আরও জানান, আগামী শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নিজে হাইলাকান্দি ও শ্রীভূমি জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে আসবেন। সেই সফরে পাথারকান্দিতেও তাঁর আগমন নির্ধারিত রয়েছে।

মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল জানান, ভয়াবহ এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশে রাজ্য সরকার রয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এককালীন আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই বন্যায় কাছাড় জেলায় প্রায় ৭০০টি গ্রাম, এবং হাইলাকান্দি ও শ্রীভূমি মিলিয়ে প্রায় ৩০০টি রাজস্ব গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ, শিশু খাদ্য ও গবাদি পশুর খাদ্য দ্রুত এবং সঠিকভাবে বণ্টনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসনিক ও বিভাগীয় আধিকারিকদের এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তৎপরতা এবং মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের এই তাৎক্ষণিক মাঠ পরিদর্শন প্রমাণ করে দেয়, সরকার জনগণের পাশে রয়েছে। পাথারকান্দি সহ গোটা বরাকবাসী আজ আশার আলো দেখছে সহমর্মিতা, সমর্থন ও সমাধানের প্রতিশ্রুতিতে।