থাইল্যান্ডে আয়োজিত মেঘনা নলেজ ফোরামে আমন্ত্ৰিত অধ্যাপক পাৰ্থঙ্কর

বরাক তরঙ্গ, ২৫ জুলাই : থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে আয়োজিত দ্বিতীয় মেঘনা নলেজ ফোরামে আমন্ত্ৰিত সদস্য হিসেবে অংশ নিলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের ডিন তথা বরিষ্ঠ অধ্যাপক পাৰ্থঙ্কর চৌধুরী৷ এশিয়ার ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার’-এর উদ্যোগে আয়োজিত তিনদিনের এই সম্মেলন শুরু হয় গত বুধবার৷ এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে ‘সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাস্তুতন্ত্ৰ এবং জীববৈচিত্ৰ্য সুরক্ষা’ শীৰ্ষক বিষয়ে বক্তব্য পেশ করেন অধ্যাপক চৌধুরী৷

সম্মেলনে থাইল্যান্ড ছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল, ভিয়েতনাম, ভারত, নিউজিল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক প্ৰতিনিধি অংশ নেন৷ এতে মেঘনা অববাহিকার সমগ্ৰ পরিসরে প্ৰকৃতি ভিত্তিক সমাধান, রক্ষণাবেক্ষণ এবং বাস্তবায়নের জন্য আগামী দিনের কৰ্মপন্থা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়৷

থাইল্যান্ডে আয়োজিত মেঘনা নলেজ ফোরামে আমন্ত্ৰিত অধ্যাপক পাৰ্থঙ্কর

প্ৰসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) রাষ্ট্ৰসংঘের সাধারণ পরিষদে পৰ্যবেক্ষকের মৰ্যাদাপ্ৰাপ্ত একটি পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা৷ ১৯৬৯ সাল থেকেই ভারত এর সদস্য৷ প্ৰতিটি কর্মসূচিতেই ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবৰ্তন মন্ত্ৰক প্ৰতিনিধিত্ব করে আসছে৷ ২০১৮ সাল থেকে আইইউসিএন মেঘনা নদীর অববাহিকার বাস্তুতন্ত্ৰ-ভিত্তিক সংরক্ষণকে উৎসাহিত করার জন্য ‘বিল্ডিং রিভার ডায়ালগ অ্যান্ড গভৰ্নেন্স প্ৰোগ্ৰাম’-এর অধীনে আলোচনা ও গবেষণার সুযোগ করে দিচ্ছে৷ এই অববাহিকাটি এশিয়ার সবচেয়ে জৈব-বৈচিত্ৰ্যপূৰ্ণ এবং সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ অববাহিকাগুলির মধ্যে অন্যতম৷ বাংলাদেশ ও ভারতের ৫ কোটিরও বেশি মানুষ অববাহিকা দ্বারা প্ৰদত্ত বাস্তুতন্ত্ৰ পরিষেবার ওপর নিৰ্ভর করে, যার মধ্যে জলাভূমিতে বসবাসকারী আদিবাসী সম্প্ৰদায়ও রয়েছে৷

থাইল্যান্ডে আয়োজিত মেঘনা নলেজ ফোরামে আমন্ত্ৰিত অধ্যাপক পাৰ্থঙ্কর

সম্প্ৰতি আইইউসিএন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলজি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগের সঙ্গে বরাক উপত্যকার কাছাড় ও শ্ৰীভূমি জেলার মেঘনা বেসিন অৰ্থাৎ বরাক নদীর দু’পাশে বসবাসকারী লোকদের জীবন, জীবিকা ও বাস্তুতন্ত্ৰের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ করতে উদ্যোগী হয়েছে৷

Spread the News
error: Content is protected !!