শ্রীভূমির কাজের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক মন্ত্রী গার্লোসার
মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ২৮ মার্চ : শ্রীভূমি জেলায় সফরে এলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ, সংখ্যালঘু কল্যাণ এবং উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী নন্দিতা গার্লোসা। শুক্রবার সকালেই শ্রীভূমি শহরে পৌঁছে তিনি জেলা আয়ুক্ত কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা আয়ুক্ত প্রদীপ কুমার দ্বিবেদী সহ বিভিন্ন বিভাগীয় আধিকারিকরা।
জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি ও সমস্যার খোঁজখবর নিতেই এই বৈঠক আয়োজন করা হয়। বৈঠকে স্বাস্থ্য বিভাগের কাজকর্ম নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের রেজিস্ট্রেশন, টিকাকরণ, আয়রন-ফোলিক অ্যাসিড ও ক্যালশিয়াম সরবরাহ, চা বাগান এলাকার মহিলাদের ওয়েজ কম্পেনসেশন স্কিম ইত্যাদি বিষয় গুরুত্ব সহকারে তোলা হয়। পাশাপাশি মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের জল জীবন মিশনের অগ্রগতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। মন্ত্রী নিশ্চিত করতে বলেন, যাতে প্রতিটি ঘরে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে যায়। গ্রামীণ এলাকায় আবর্জনা ব্যবস্থাপনা ও বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

পূর্ত, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের আওতায় পিএমএওয়াই-জি, পিএওয়াই-জি, এমজিএনরেগা, ফিফটিন্থ ফাইন্যান্স কমিশন এবং অমৃত সরোবর প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী। কৃষি বিভাগের পিএম কিষাণ, প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, এনএমইও-ওপি, পিএমকেএসওয়াই প্রকল্পগুলির কাজ নিয়েও আলোচনা হয়।

এদিন বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের কাজের পর্যালোচনা করে মন্ত্রী নির্দেশ দেন, গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ বজায় রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। পাশাপাশি পশু পালন বিভাগের কাজে জোর দিয়ে জেলায় দুগ্ধ উৎপাদন বাড়ানোর এবং একটি সমীক্ষা চালানোর পরামর্শ দেন। বরাক উপত্যকায় আসন্ন দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্পের জন্য প্রতিদিন ১০ লিটার করে দুধ সংগ্রহের লক্ষ্যে দুগ্ধ উৎপাদকদের রেজিস্ট্রেশন ও মূল্য প্রদানের কথা জানান মন্ত্রী।

শিক্ষা বিভাগকে স্কুলে ড্রপ আউট কমানোর ওপর গুরুত্ব দিতে বলেন তিনি। বিশেষ করে ছাত্রীদের শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়াও জল সিঞ্চন, ক্রীড়া, শিল্প ও বাণিজ্য, মৎস্য, সমাজকল্যাণ এবং সমবায় বিভাগের কাজের অগ্রগতি নিয়েও পর্যালোচনা করেন মন্ত্রী।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাতাবাড়ীর বিধায়ক বিজয় মালাকার, ডিডিসি দীপক জিডুং, এডিসি উদয় শঙ্কর দত্ত, এডিসি মিনার্ভা দেবী আরামবাম সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিক এবং বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষকর্তারা।