কমিউনিস্ট আগ্রাসন থেকে সুরক্ষা দিতে সামরিক আইন, আন্দোলনের চাপে প্রত্যাহার দঃ কোরিয়ায়
৪ ডিসেম্বর : আন্দোলনের চাপে টিকলো না দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন। ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সামরিক আইন (মার্শাল ’ল) প্রত্যাহার করল দক্ষিণ কোরিয়া। ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি’ দেশের গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলছে, এমন অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারির ঘোষণা করেন। তারপরই দেশজুড়ে শুরু হয় প্রবল প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। বিক্ষোভ আর চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত পিছু হটে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় সামরিক আইন।
সামরিক আইন বা জরুরি অবস্থা ঘোষণার পেছনে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি যুক্তি দিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের মদতে ক্ষমতা দখলের ছক কষছে বিরোধীরা। তাই দেশকে কমিউনিস্ট আগ্রাসন থেকে সুরক্ষা দিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি নির্মূল করতে সামরিক আইন জারি করছেন। এই আইন বাস্তবায়ন করতে দায়িত্ব দেওয়া হয় সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল পার্ক আন-সু-কে। সামরিক আইন জারির মধ্যে দিয়ে দেশে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চেয়েছিলেন ইওল।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরই দিকে দিকে শুরু হয় বিক্ষোভ। বিরোধীরা তো বটেই, শাসক দলের অনেকেই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথে নামেন। পার্লামেন্টের বিরোধী সদস্যেরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভবনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। অশান্ত হয়ে ওঠে অ্যাসেম্বলি ভবন চত্বর। বিক্ষোভকারীদের রুখতে নামানো হয় সেনাও। এমনকি ট্যাংকার, সাঁজোয়া যান দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় ভবন। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকেই সামরিক আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালের পর এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করা হয়েছিল।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ।