জানীগঞ্জে আদিযোগী মন্দিরের আদলে মণ্ডপ
বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৭ অক্টোবর : আলোর উৎসব দীপাবলির অন্যতম আকর্ষণ হয়ে থাকে জানীগঞ্জ কালীপূজা কমিটি। এবার তার কোন ব্যতিক্রম নয়। অন্ধ্রপ্রদেশের আদিযোগী মন্দিরকে থিম করে পুজোর ভাবনা সাজিয়েছে জানিগঞ্জ কালীপূজা কমিটি। সঙ্গে থাকছে আকর্ষণীয় থ্রিডি লেজার শো। এজন্য মুম্বাই থেকে যোগেশ সোনি ও কলকাতার শুভজিৎ ঘোষকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে শিলচরে। তাছাড়া জানিগঞ্জের রাস্তার দুই মোড়ে চলছে অক্টোপাস ও টাওয়ার গেটের আদলে দু’টি সুবিশাল আলোর তোরণ বসানোর কাজ। পুজোয় বাড়তি পাওনা হিসেবে থাকছে সাংস্কৃতিক বিচিত্রানুষ্ঠানের আসর। মোট কথা দর্শনার্থী টানতে এবারও বিনোদনের কম্বোপ্যাক নিয়ে হাজির অর্ধশতাব্দী প্রাচীন এই পূজা কমিটি। এই কমিটির আয়োজন দেখতে গোটা বরাক উপত্যকার মানুষ মুখিয়ে থাকেন। ইতিমধ্যে বিশাল আকারের সুউচ্চ মণ্ডপ গড়ার কাজ চলছে।
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পুজো কমিটির উপদেষ্টা নন্দদুলাল সাহা জানান, ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মণ্ডপ উদ্বোধন হবে শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী গণধীশানন্দজি মহারাজের হাত ধরে। সঙ্গে থাকার কথা রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, দুই সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্য, সুস্মিতা দেব, বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, কৌশিক রায়, মিহিরকান্তি সোম, প্রাক্তন সাংসদ রাজদীপ রায়, জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব, পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতো, বিজেপির প্রদেশ সম্পাদক কণাদ পুরকায়স্থ, প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ পাল, বিজেপির জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায় সহ জানিগঞ্জের প্রবীণেরা। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন আয়োজক কমিটির সভাপতি রাজকুমার পাল, সম্পাদক সাগ্নিক পাল, সহ-সভাপতি রিকি পাল, দেবজিত পাল, রিক পাল, মূলচাঁদ বৈধ, নন্দ দুলাল সাহা সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।