ব্লগার ও ইউটিউবারদের জন্য মূল স্রোতের সাংবাদিকরা সমস্যায়, সঞ্চালককে জানাল প্রেসক্লাব
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ১২ সেপ্টেম্বর : একের পর গজিয়ে ওঠা ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল এবং তাদের সাংবাদিকদের জন্য বরাক উপত্যকার সঙ্গে গোটা রাজ্যে মূল স্রোতের সাংবাদিকরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রায় তিন বছর আগে বিষয়টি নিয়ে করিমগঞ্জ জেলা শাসক আম্বামাথুন এমপি’ র মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রেস ক্লাব করিমগঞ্জ। দেরিতে হলেও সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী পোর্টাল সাংবাদিকরা যাতে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে না আসে এমনই বলেছেন। তবে প্রেস ক্লাব চায় শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, সরকারি সর্ব ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন। কারণ, তাদের জন্য সমাজে নানা ক্ষেত্রে অশান্তির বার্তা নিয়ে আসে সামাজিক প্রচার মাধ্যমে। বুধবার প্রেস ক্লাব করিমগঞ্জ -এর পক্ষ থেকে গুয়াহাটিতে রাজ্যের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের সঞ্চালক মানবেন্দ্র দেবরায়ের সঙ্গে তার কার্যালয়ে আলোচনাকালে উপরোক্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর বরাকের সাংবাদিকদের নানা সমস্যা তুলে ধরা হয়।
শুরুতে প্রেস ক্লাব করিমগঞ্জের পক্ষ থেকে সঞ্চালক মানবেন্দ্র দেব রায়কে উত্তরীয় ও কলম, পুস্তক উপহার দিয়ে সম্মান জানানো হয়। একই সঙ্গে বরাক উপত্যকার সাংবাদিকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়। আলোচনার মধ্যে ছিল সাংবাদিকদের সুরক্ষা, সংবাদ লেখার ক্ষেত্রে সরকারি আধিকারিক ও বিভিন্ন বিভাগ থেকে তথ্য সরবরাহ করা, সরকারের পক্ষ থেকে বরাকের সাংবাদিকদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া ইত্যাদি। একই সঙ্গে বরাক উপত্যকার সাংবাদিকদের নিয়ে সরকারি আয়োজনে কর্মশালার আয়োজন করার প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়।
বিস্তারিত আলোচনা শেষে জনসংযোগ সঞ্চালক মানবেন্দ্র দেব রায় বলেন, আপনাদের দাবিগুলো নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো, তবে কর্মশালার দাবি প্রসঙ্গে বলেন ,পুজোর পর বরাক উপত্যকায় সাংবাদিকদের নিয়ে দুটি কর্মশালার আয়োজন করার প্রচেষ্টা চালানো হবে ।একটি কর্মশালা করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি নিয়েকরিমগঞ্জে এবং অপরটি কাছাড় জেলার সাংবাদিকদের
নিয়ে শিলচরে আয়োজনের চেষ্টা হবে। প্রেস ক্লাবের সভাপতি মিহির দেবনাথ বলেন, কর্মশালা খুব গুরত্বপুর্ন বিষয়। এই কর্মশালার ফলে নবাগত সাংবাদিকরা সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নানা দিক থেকে উপকৃত হবেন। আলোচনাকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সম্পাদক অরূপ রায়, সদস্য সাইদুল ইসলাম।