সংঘর্ষ বিরতি, যথেষ্ট ধোঁয়াশা তৈরি
।। প্রদীপ দত্ত রায় ।।
(লেখক গৌহাটি হাইকোর্টের প্রাক্তন আইনজীবী)
১৫ মে : ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম। সে প্রবন্ধে ভারতের পরাক্রমের কথাই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যে ঘটনাবলী ঘটে চলেছে এর উপর আলোকপাত করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তাই এ বিষয় নিয়ে ফের কলম ধরতে হচ্ছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরিকে ভারতে ফিরিয়ে আনা এবং বালোচিস্তানকে পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীন করে দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা ভারতীয়দের মনে এখন স্থান করে নিয়েছে। এই অবস্থায় হঠাৎ সংঘর্ষ বিরতি দেশের মানুষকে আশাহত করে তুলেছে। তাই কতগুলি বিষয় সামনে তুলে ধরতে হচ্ছে।
পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়ে একজন নেপালি নাগরিকসহ ২৬ জন ভারতীয় নাগরিককে হত্যা করেছিল। নিরীহ এই নাগরিকদের নৃশসভাবে হত্যার ঘটনার পর সারা দেশে মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকার যাতে ব্যবস্থা নেই তার জন্য গর্জে ওঠেন ভারতের মানুষ। পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বারবার তিন বাহিনীর প্রধান সহ প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন। হামলার মোকাবিলায় কী করা হবে এর রণনীতি স্থির করা হয়। আলোচনা করা হয় বিরোধী দলগুলির সঙ্গেও। বিরোধীরা সরকার এক্ষেত্রে যে পদক্ষেপ করবে তাতে পূর্ণ সমর্থন থাকবে বলেও জানিয়ে দেয়। এরপরই ভারত, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করে দেয়। এই হামলায় প্রচুর জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। ভারত এই জঙ্গি নিধন কর্মসূচি চালিয়ে গেলেও ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামক এই অভিযানে পাক সেনাবাহিনী বা সাধারণ নাগরিকদের উপর কোনও ধরনের আক্রমণ করেনি। জঙ্গিরা পহেলগাঁওয়ে হামলা চালিয়ে পুরুষদের হত্যা করে নারীর মাথার সিঁদুর মুছে দিয়েছিল। নারীদের সিঁদুর মুছে দেওয়ার এই ভাবাবেগকে হাতিয়ার করেই অভিযানের নাম রাখা হয় অপারেশন সিন্দুর। এর মাধ্যমে জঙ্গি ঘাঁটিগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া লক্ষ্য স্থির করা হয়। কিন্তু পাকিস্তান জঙ্গি ঘাটি ধ্বংসের ঘটনাকে যুদ্ধ ধরে নিয়ে ভারতের অসামরিক এলাকা, হাসপাতাল ইত্যাদিকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা শুরু করে। তবে ভারতের এস ৪০০ সুদর্শন চক্র এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সেই সব মিসাইলকে মাঝ আকাশে নিষ্ক্রিয় করে দিতে সক্ষম হয়। কেবল তাই নয় ভারত মিসাইল এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের ১১টি এয়ারবেস ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়েছে। পাক হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে ভারতে কয়েকজন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। কিছু অসামরিক আধিকারিক ও নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে দেশের মানুষের মধ্যে যুদ্ধং দেহি মনোভাব গড়ে ওঠে। সিংহভাগ মানুষের মনে আকাঙ্ক্ষা জাগে ভারত যেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ফিরিয়ে এনে তবেই ক্ষান্ত হয়।
জঙ্গিরা যে জম্মু-কাশ্মীরে হামলা চালাতে পারে এ সম্পর্কে গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল। তাই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সেখানে রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা থাকলেও তা তিনি বাতিল করেন। গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও সে রাজ্যের পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীরা কেন নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয় এ নিয়ে কোন কোন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে, জঙ্গিরা শ্রীনগর এবং আশপাশ এলাকায় হামলা চালাতে পারে এমন আভাস পেয়ে নিরাপত্তা বলে কঠোর করা হয়েছিল। কিন্তু তারা অন্য জায়গাকে লক্ষ্য স্থির করেছে এটা জানতে পারেননি গোয়েন্দারা। সরকার সর্বদলীয় বৈঠকে নিরাপত্তা গাফিলতির দায় স্বীকার করে নিয়েছে। এরপর বিরোধী দলগুলি জঙ্গি ঘাঁটি উচ্ছেদের সরকারি পরিকল্পনাকে সমর্থন জানায়। এরপরই ভারতের এয়ার ফোর্স, নেভি এবং আর্মি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অপারেশন সিন্দুর শুরু করে। অভিযান চলার চার দিন পর হঠাৎ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স হ্যান্ডেলে লিখেন, আমেরিকার অনুরোধে ভারত এবং পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়েছে। এখানে বিষয়টা যথেষ্ট ধোঁয়াশা তৈরি করে। ট্রাম্পের কাছে সহায়তা চাইতে পাকিস্তান গিয়ে থাকতে পারে কিন্তু ভারত এ ব্যাপারে কোনও ধরনের সহায়তা চায়নি। তবে এটাও জানা গেছে, ঠিক ওই সময়ই পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতের ডিজিএমওর সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে আলোচনা করেন। উভয়ই মৌখিকভাবে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হোন এবং পরবর্তীকালে নিয়ে বৈঠকে মিলিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু হঠাৎ করে এই সংঘর্ষ বিরতির পথে ভারত কেন এগিয়ে গেল এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।অপারেশন সিন্দুর চালানোর আগে বিরোধীদল গুলির সঙ্গে বৈঠক করে মতামত নেওয়া হয়। কিন্তু সংঘর্ষ বিরতিতে যাওয়ার আগে বিরোধী দল গুলির কোন মতামত কেন নেওয়া হলো না এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিরোধীরা কেন্দ্রকে চিঠি লিখে এ বিষয়কে কেন্দ্র করে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার আবেদন জানিয়েছেন।
ভারত পাক সংঘর্ষের এই বাতাবরণে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানকে ভেঙে টুকরো করে বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন ভারতের উপর খবরদারি করতে চাইলে ইন্দিরা গান্ধী বলে দিয়েছিলেন ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বন্ধু মনে করে কিন্তু বস নয়। ইন্দিরা এই দৃঢ়তার প্রসঙ্গ এখন সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তুলছেন। তাদের বক্তব্য, বর্তমান সরকার কেন পাকিস্তানকে ভেঙে পৃথক বালোচিস্তান গঠন করার আগেই সংঘর্ষ বিরতিতে এগিয়ে গেল। অনেকে কারগিল যুদ্ধের সময়কার ঘটনার প্রসঙ্গ এনে বলেছেন সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টন তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি কে ফোন করে বলেছিলেন পাকিস্তান একটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র ওরা যদি পরমাণু হামলা করে তাহলে ভারতের ভীষণ ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কাজেই তিনি যেন আমেরিকায় এসে বৈঠকে মিলিত হন। অটল বিহারী বাজপেয়ি তখন বলে দিয়েছিলেন, ধরে নিচ্ছি পাক পরমাণু হামলায় ভারতের বেশ কিছু ক্ষতি হবে। কিন্তু পরদিন বিশ্বের মানচিত্র থেকে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটি চিরতরে মুছে যাবে। বাজপেয়ীর এই সাহসিকতা নিয়েও এখন কেউ কেউ প্রশ্ন তুলে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করছেন। তবে ওই সময়কালের সঙ্গে বর্তমানের যে ফারাক রয়েছে এটা অনেকে বুঝতে চাইছেন না। এখন লড়াইটা হচ্ছে কৌশলগত এবং বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সমর্থন নিয়ে এ লড়াই জঙ্গি নিকেশ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। ভারত গায়ে পড়ে যুদ্ধে জড়াতে চাইছে না। কারণ সর্বাত্মক যুদ্ধ লেগে গেলে ক্ষতি উভয় দেশেরই হবে এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই। পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ হলে ভারতের আর্থিক অবস্থার পতন ঘটতে পারে এ বিষয়টা ওয়াকিবহাল মহলের ভালই জানা আছে। কারণ , কেবল ভাবাবে কে হাতিয়ার করে কোন সিদ্ধান্ত নিলে এর পরিণাম ভালো হয় না।
এখানে আরেকটা বিষয় উল্লেখ করতে হয়। সংঘর্ষ বিরতির পর পাকিস্তান রাতের অন্ধকারে ফের কাশ্মীর পাঞ্জাব ও গুজরাটে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। যদিও ভারত পাক ড্রোন এবং মিসাইলকে আকাশেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়। কিন্তু এই ধরনের একটি দেশকে বিশ্বাস করা কতটা যুক্তিসঙ্গত এটা ভেবে দেখতে হবে। তাছাড়া, ট্রাম্প বাণিজ্যের ভয় দেখিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানকে সংযত হতে বলেন। এক্ষেত্রে ট্রাম্পের দ্বিচারিতা প্রকাশ পেয়ে গেছে। কারণ, আমেরিকা চায়না ভারত আরো শক্তিশালী দেশ হিসেবে এগিয়ে আসুক। সেজন্যই সামনে ভারতের পাশে আছি বলার পর ভেতরে ভেতরে পাকিস্তানকেই সমর্থন করছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই আচরণ এই ভারতের মানুষ বলতে শুরু করেছেন কেন আমেরিকার নির্দেশ শুনবে ভারত। ইন্দিরা গান্ধী বা অটল বিহারি বাজপেয়ী যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট দের মুখের উপর জবাব দিতে পেরেছিলেন। তাহলে বর্তমানে কেন দেওয়া হচ্ছে না এ প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। যারা শাসকদলের সমর্থক তাদের ভিতর থেকেও অসন্তোষের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন সারাদেশের মানুষ সরকারের পাশে রয়েছে। সংঘর্ষ বিরতির পর পাকিস্তান ক্রমাগত হামলা চালানোয় ভারত অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে যে অপারেশন সিন্দুর এখনো অব্যাহত রয়েছে। জঙ্গিদের ঘাঁটিগুলি চিহ্নিত করে ধ্বংস করার কাজ আগের মতই চালিয়ে যাওয়া হবে। তাছাড়া এখন পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হবে অধিকৃত কাশ্মীর ফেরানো, জঙ্গিদের ধরিয়ে দেওয়া এই বিষয় নিয়ে। আর আলোচনায় কোন তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মানবে না ভারত। এই ঘোষণা করার অর্থ হল কিছুদিন পূর্বেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে রাজি আছেন। তবে ট্রাম্পের দাদাগিরি ভারত যে মানবে না এটা পরোক্ষে বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী সরকার ঘরের মতোই বর্তমান সরকারও নীতি থেকে সরে আসেনি। আরেকটি বিষয় ভারত সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে সিন্ধু জলচুক্তি যা বাতিল করা হয়েছে তা এখন পুনর্বহাল করা যাবে না। এ ব্যাপারে বিশ্ব ব্যাংকও হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

ভারতের অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদ মাধ্যম যেসব সংবাদ প্রকাশ করেছে তাতে স্পষ্ট করেই উঠে এসেছে যে ভারত কোন সাধারণ নাগরিকের উপর হামলা চালায়নি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের দেশে কিছু মানুষ ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ বলে আওয়াজ তুলে এর সঙ্গে কিছু আলটপকা মন্তব্য করে ফেলে। এসব মন্তব্য অনেক সময় রাষ্ট্রদ্রোহের মত পর্যায়ে চলে যায়, যা খুবই দুর্ভাগ্যজন। যাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই তারা দেশের দেড়শ কোটি মানুষের ভাবাবেগ কীভাবে উপলব্ধি করবে? সরকারের সঙ্গে বা শাসক দলের সঙ্গে কংগ্রেসের ভিন্নমত থাকলেও এই দলটি কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী কোন ধরনের বক্তব্য পেশ করেনি। রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা আমাদের সেনাবাহিনীর উচ্চসিত প্রশংসা করেছেন। সরকারও দেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাভিমান রক্ষার জন্য দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। ভারতীয় সেনা কিন্তু পাক সেনার বিরুদ্ধে কোন লড়াইয়ে না নেমে শুধুমাত্র জঙ্গি নিধন এবং জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার অভিযানই চালিয়ে যায়। বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে বালোচিস্তান পৃথক রাষ্ট্র হয়ে যেতে পারে এবং ভারত ছাড়াও বিভিন্ন দেশ অচিরে সমর্থনও করতে পারে। ভারত সরকার বিশ্ব পরিস্থিতির দিকে বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটা দেশের সিংহভাগ মানুষ মেনে নিয়েছেন। কারণ, কেবলমাত্র যুদ্ধ উন্মাদনার মধ্য দিয়ে বিজয় সম্ভব নয়। ভারত রণকৌশলগত দিক থেকে বিজয় লাভ করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সমঝোতার রাস্তায় না হেঁটে পাকিস্তান যদি তাদের নিজের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনতে তৎপর হয়। তাহলে ভারতকে আরো কঠিন পদক্ষেপ করতেই হবে। সেজন্যই দেশের সব রাজনৈতিক দল ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় চেতনার মধ্যে এগিয়ে যেতে হবে। সরকার কোন যদি ভুল পদক্ষেপ নেয় তার সমালোচনার সময় এখন নয় এটা উপলব্ধি করতে হবে।
(মতামত লেখকের ব্যক্তিগত)