লঙ্গাই নদীর বাঁধ ভেঙে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ২৯ মে : পাথারকান্দির স্থানে স্থানে লঙ্গাই নদীর বাঁধ ভেঙে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত এতে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার জনগণ।দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাশা অসম রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্থানে রেমালের তান্ডবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে রাস্থা ঘাট সড়ক পথ রেল পথ সহ গ্রাম শহরে বিস্তর এলাকা।এরি মধ্যে শেষ বেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের রুদ্রগ্রাস আছড়ে পড়ে বরাকের তিন জেলা করিমগঞ্জ কাচাড় ও হাইলাকান্দিরতে অবিরাম টানা বর্ষণে লঙ্গাই নদী সহ প্রতিটি নদী নালা ছড়ার জলে ফেপে উঠেছে।এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন জেলায়। এতে করিমগঞ্জ জেলার দক্ষিন করিমগঞ্জ রাতারাতি ও পাথারকান্দির বিভিন্ন গ্রাম জলে প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে পাথারকান্দিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া খরব পাওয়া গেছে। পাথারকান্দি বুক চিরে বয়ে যাওয়া লঙ্গাই নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠায় মঙ্গলবার রাতে পৃথক পৃথক ভাবে স্থানে স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে পাথারকান্দির বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হল। বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট ভাসছে জলের তলায়। তলিয়ে গেছে লক্ষ লক্ষ বিঘা চাষের জমি সহ মৎস্য চাষে দের পুকুর ফিসারির ক্ষতি হচ্ছে। বলতে গেলে চরম দুর্ভোগের সীমা ছাড়িয়ে গেছে বন্যাক্রান্তদের।জলে থৈ থৈ চারিদিকে হাহাকার পরিস্থিতি। মঙ্গলবার সকালে যেমন আশঙ্কা করা হয়েছিল তেমনি হল মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৃথক পৃথক ভাবে পাথারকান্দির লঙ্গাই নদীর দক্ষিণ বিলবাড়ি, উত্তর বিলবাড়ি সহ কচুবাড়ির বেশ কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে প্রায় কুড়িটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে বন্যার রোষানলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।

গৃহহীন হয়ে পড়েছেন অনেকেই।বুধবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশকিছু বন্যাক্রান্তদের তিনখাল প্রতাপগড় হাইস্কুলে অস্থায়ী শিবির গড়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে পাথারকান্দি শহরে থাকা থানা,পূর্ত বিভাগের ডাকবাংলো, ডাকঘর, ফরেষ্ট অফিস সহ বেশকিছু গলি পথ। এদিকে জলসম্পদ বিভাগের চূড়ান্ত খামখেয়ালিপনায় পাথারকান্দি শহর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সুইচ গেট সংলগ্ন ছাড়া ও থানার সম্মুখে ডেইলি বাজার সংলগ্নে থাকা লঙ্গাই নদীর বাঁধের উপর দিয়ে জল তীব্র গতিতে বহে যাওয়ায় মুহূর্তে পাথারকান্দি কালিবাড়ি রোডের বেশক’টি দোকানপাট ও বসতভিটে জল প্রবেশ করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় স্থানীয়দের। জলবন্দি হয়ে পড়েন অনেকেই। পরে অবশ্য বুধবার সকালবেলা চাপে পড়ে বিভাগীয় তরফ থেকে এসব স্থানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মাটি দিয়ে বাঁধের জল আটকানোয় চেষ্টা চালাবে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন বন্যা দুর্গতরা। তবে এই ভোগান্তির জন্য দুর্গতরা সরাসরি স্থানীয় জল সম্পদ বিভাগকে দায়ী করেন।

তারা বলেন, বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে স্থানীয়দের এমন দুর্ভোগ পোহাতে হত না।বাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে সকালবেলা সার্কেল অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে বন্যাবিধস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন করিমগঞ্জের জেলাশাসক মৃদুল কুমার যাদব। তিনি দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সহ বন্যাক্রান্তদের পর্যাপ্ত পরিমাণের ত্রাণ সামগ্রীর তালিকা তৈরির জন্য সার্কেল অফিসারকে নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাথারকান্দিতে বন্যা দুর্গতদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে দেবার আশ্বাব দিয়েছে জেলাশাসক মৃদুল যাদব।একি ভাবে স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল বুধবার ভাঙ্গা বাধ সহ বন্যা কবলিত এলাকায় পরিদর্শন করে দুর্গতদের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সার্কেল প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বিধায়ক।

উল্লেখ্য, পাথারকান্দি একটি বন্যা কবলিত এলাকা বিগত দিনেও বেশ কয়েক বার লঙ্গাই নদীর বাধ ভেঙ্গে জল ডুকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পাথারকান্দির শহরের লাঘুয়া বিভিন্ন গ্রাম সহ শহর। প্রতিবছর পাথারকান্দির নদী বাদের ভাঙ্গন রোদ করতে বাধ মেরামতের নামে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও বাধ নির্মাণের কাজ সটিক ভাবে না হওয়াতে প্রতিবার বৃষ্টির মরশুমে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।সঠিক ভাবে বাধের মারেমত হয়নি এরই ফলে বাধ ভেঙ্গে জল ডুকে প্লাবিত হয়েছে বিস্তার এলাকা। এতে স্থানীয়রা সংলিষ্ট বিভাগকে দায়ি করছেন।