ধলিরপারে দীর্ঘদিনের জমাজলে জনজীবন বিপর্যস্ত, এগিয়ে এল স্থানীয় যুবসমাজ
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২১ মে : একটানা বৃষ্টিপাতের ফলস্বরূপ করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি বিধানসভার অন্তর্গত ধলিরপার এলাকায় তৈরি হয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা। কাঁঠালতলি-তিলভূম পূর্ত সড়কের বাঘন গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় সংলগ্ন অংশে রাস্তার উপর জমাজল যেন স্থানীয়দের নিত্যদিনের দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রী, কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে সবাইকে এই জমা জলের মধ্য দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি, দুর্ঘটনার আশঙ্কা এবং চরম অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে সকলকে। অথচ এতদিনেও এই সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

বুধবার সকালেই গ্রুপ সদস্য নন্দলাল কৈরীর নেতৃত্বে প্রায় দশজন যুবক এগিয়ে এসে অস্থায়ীভাবে সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণের কাজে হাত লাগান। জমাজল নিষ্কাশনের জন্য রাস্তার পাশ ঘেঁষে মাটি খুঁড়ে একটি অস্থায়ী ড্রেন তৈরি করা হয়, যার ফলে জল দ্রুত নেমে যেতে শুরু করে। একইসঙ্গে, আগে নির্মিত অসম্পূর্ণ একটি পাকা ড্রেনও পরিষ্কার করে জল চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়।
এই উদ্যোগের ফলে ওই অংশে স্বাভাবিক যাতায়াত অনেকটাই সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা যুবকদের এই মানবিক ও সময়োপযোগী প্রয়াসকে কৃতজ্ঞচিত্তে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নন্দলাল কৈরী জানান, নতুনভাবে পঞ্চায়েত গঠনের পর এই দীর্ঘদিনের সমস্যার স্থায়ী সমাধানই হবে তাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় অন্যতম। তিনি আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে এই জলাবদ্ধতা নিরসনের স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, এই অস্থায়ী উদ্যোগের অন্যতম সদস্য স্থানীয় যুবক জনটুকুমার নাথ জানান, “আমরা আপাতত নিজেরা মিলে সমস্যার একটা প্রাথমিক সমাধান করেছি। তবে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে রাজ্যের সেচ ও পূর্ত দপ্তর এবং মাননীয় মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের সক্রিয় হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।