প্রচারে পিছিয়ে নয় বামপন্থী প্রার্থী গৌরচন্দ্র
বরাক তরঙ্গ, ৮ নভেম্বর : ধলাইয়ে প্রচারে পিছিয়ে নয় বামপন্থী প্রার্থী গৌরচন্দ্র দাসও। প্রচারে ঝড় তুলছেন দলীয় কর্মকর্তারা। শুক্রবার এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের মনোনীত প্রার্থী গৌরচন্দ্র দাসের সমর্থনে জারইলতলা, ভুবনডহরে, এলেনপুর বাজার ও হাওয়াইথাং বাজারে সভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য যথাক্রমে অরুণাংশু ভট্টাচার্য, ভবতোষ চক্রবর্তী, ময়ূখ ভট্টাচার্য ও কাছাড় জেলা কমিটির সদস্য মাধব ঘোষ, হাইলাকান্দি জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাস চন্দ্র সরকার, হিল্লোল ভট্টাচার্য, সঞ্চিত শুক্ল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে স্বাধীনতার পর থেকেই ধলাই বিধানসভা কেন্দ্র তপসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত, অথচ উন্নয়নের ছোঁয়া আজও এখানে লাগেনি। ধলাই বিধানসভা কাছাড় জেলার মধ্যে অন্যতম পিছিয়ে পড়া একটি বিধানসভা কেন্দ্র। প্রাকৃতিক উপাদান এবং কাঁচা মালের যে প্রাচুর্য এখানে রয়েছে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করে বিগত সরকারগুলো যদি এখানে শিল্প গড়ে তুলত, তাহলে কাজের সন্ধানে ভিন্ন রাজ্যে কাউকে ছুটে যেতে হত না। কিন্তু অতীতের কংগ্রেস ও বর্তমানে বিজেপি দলের সরকার ও সেসব দলের নির্বাচিত বিধায়করা এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে আজ ধলাই বিধানসভার এমন কোন গ্রাম নেই যেখানকার বেকার যুবকেরা কাজের সন্ধানে অন্য রাজ্যগুলোতে পাড়ি দেয়নি। ভিন্ন রাজ্যে যারা পাড়ি দিয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যদের সারা বছর দুশ্চিন্তায় দিনযাপন করতে হয়, কারণ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যুর খবর প্রায়ই সেসব স্থানে ঘটে।
ধলাই বিধানসভার যেসব বেকার যুবকরা পার্শ্ববর্তী মিজোরাম রাজ্যে পাড়ি জমান সেখানেও অসম-মিজোরাম সীমা বিবাদের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাদের প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসতে হয়। ধলাই বিধানসভা এলাকার জনগণ একসময় কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন, কিন্তু বর্তমানে কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় তাদের উৎপাদন খরচই তুলতে পারেন না। ফলে কৃষক পরিবারের বেকার যুবকরাও কৃষি কাজ ছেড়ে অন্য কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে বাধ্য হন।
তাঁরা বলেন, ধলাই বিধানসভা এলাকায় যে সব চা বাগান রয়েছে সেগুলোতে বসবাসকারী চা শ্রমিকদের অবস্থা খুবই বেহাল। চা শ্রমিকদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ৩৫০ টাকা ও বছরে একবার বিশ শতাংশ বোনাস প্রাপ্তির যে ন্যায্য অধিকার তা থেকে তারা আজও বঞ্চিত। বেশিরভাগ চা-বাগানে নেই চিকিৎসা ও পড়াশোনা করার মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। চা- বাগানগুলোতে বছরের পর বছর ধরে বংশানুক্রমিকভাবে যারা বসবাস করে আসছেন তাদের জমির কোন পাট্টা নেই। এ ছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা ও বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন।