লঙ্গাই ও বুবরিঘাটে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন কৃষ্ণেন্দুর
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ১৬ জুলাই : বুধবার পাথারকান্দি বিধানসভার চা-বগান অঞ্চলের লঙ্গাই ও বুবরিঘাটের জনজীবনে সূচনা হল এক নতুন অধ্যায়। শিশুদের বিকাশ ও নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে গঠিত ৭৪ নম্বর বুবরিঘাট অঙ্গনবাড়ি কেন্দ্রের নবনির্মিত ভবন সহ ৭২ নম্বর লঙ্গাই মডেল অঙ্গওযাড়ি কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন পাথারকান্দির বিধায়ক তথা মৎস্য পশুপালন এ ভেটেরিনারি এবং পূর্ত বিভাগের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল। প্রত্যন্ত এই অঞ্চলে এমন উন্নত পরিকাঠামোযুক্ত অঙ্গনবাড়ি কেন্দ্র স্থাপন, সরকারের সামাজিক কল্যাণমূলক দৃষ্টিভঙ্গির এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিন প্রথমে সকাল ১১টা নাগাদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা, শিশু ও তাঁদের অভিভাবকরা উষ্ণ সংবর্ধনা জানান মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালকে। এবং তিনি নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি কেন্দ্রে ঘুরে দেখেন এবং শিশুদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান। প্রতিটি শিশুর হাতে চকলেট তুলে দেন মন্ত্রী। উদ্বোধনী ভাষণে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল বলেন, একটি জাতির ভিত্তি গড়ে ওঠে তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশের মধ্য দিয়ে। অঙ্গনবাড়ি কেন্দ্র শুধুমাত্র শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা বা পুষ্টির জায়গা নয়, এটি মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের, সামাজিক বিকাশের এবং নারীদের সচেতনতামূলক অংশগ্রহণের একটি আধার।তিনি আরও জানান, রাজ্য সরকার অঙ্গনবাড়ি ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান। এদিকে, এদিন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল লঙ্গাই চা-বাগানের ৭২ নম্বর লঙ্গাই মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রী পাল এও জানান, শুধু বুবরিঘাট ও লঙ্গাই চা-বাগান নয়, সমগ্র অসমজুড়ে অঙ্গনবাড়ি কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান আছে। তিনি আরও বলেন, সরকার ‘মাতৃ-পুষ্টি ও শিশু কল্যাণ’-এর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, যার আওতায় পর্যায়ক্রমে সমস্ত অঙ্গনবাড়ি কেন্দ্রে উন্নত সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে। আজকের এই উদ্বোধন শুধু একটি ভবনের নির্মাণ নয়, এটি একটি সুন্দর ভবিষ্যতের ভিত্তি। শিশুদের মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক বিকাশের পথে বুবরিঘাটে নতুন করে সূর্য উঠেছে যেখানে অঙ্গনবাড়ির প্রতিটি দেওয়াল সাক্ষী থাকবে এক উন্নত ও মানবিক উদ্যোগের। দু’টি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধি, সমাজসেবী, শিক্ষাবিদ ও এলাকার গণ্যমান্য নাগরিকবৃন্দ।
