উৎপাদনশীলতা বাড়াতে আসছে আধুনিক গবাদি পশু উন্নয়ন প্রকল্প : কৃষ্ণেন্দু
মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ৮ মে : অসমে গবাদি পশু খাতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা হতে চলেছে। রাজ্য সরকার গবাদি পশুর উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ও ডেয়ারি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে চালু করতে চলেছে আধুনিক ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি গবাদি পশুর জিনগত মানোন্নয়ন ঘটিয়ে দুধ উৎপাদনে বিপুল বৃদ্ধির সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। এই উপলক্ষে বুধবার অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি কলেজ, খানাপাড়া-তে অনুষ্ঠিত হয় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন ও ডেয়ারি বিভাগের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল, বিভাগীয় শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ, খ্যাতনামা প্রাণি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে কেন্দ্রীয় পশুপালন ও ডেয়ারি বিভাগের রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশন-এর অধীনে। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২৮.৯৩ কোটি টাকা, যার মাধ্যমে লখিমপুরে গড়ে তোলা হবে একটি আধুনিক পেশাদার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। এই কেন্দ্রে গবাদি পশুর উন্নয়ন ও আধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।এই প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত জাতের গবাদি পশু উৎপাদন সম্ভব হবে, যার ফলে রাজ্যের ডেয়ারি খামারিরা উচ্চ উৎপাদনশীল গরু ও মহিষ পাবেন। দুধ উৎপাদনে ৫০-৬০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি আসবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। এর ফলে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পাবে এবং আসামের গ্রামীণ অর্থনীতি আরও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে।

পশুপালন বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, আমরা এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামের গবাদি পশুর জিনগত মানোন্নয়ন ঘটাতে চাই ।এই প্রকল্প ডেয়ারি খাতে এক নতুন বিপ্লব আনবে এবং কৃষকদের জীবনে স্থায়ী ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাবে বলে মনে করছেন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা। আশা করা হচ্ছে, আগামী তিন মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। এই পদক্ষেপ আসামের পশুপালন খাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে—যেখানে প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে একটি টেকসই ও লাভজনক কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি।