সোনাখিরায় ‘নিযুত মইনা ২.০’ প্রকল্পের আবেদনপত্র বিতরণ মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ৬ আগস্ট : রাজ্যের মৎস্য, পশুপালন, ভেটেরিনারি ও পূর্ত বিভাগের মন্ত্রী তথা বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল বুধবার সোনাখিরা স্বামী বিবেকানন্দ কলেজ প্রাঙ্গণে উপস্থিত থেকে ‘নিযুত মইনা ২.০’ প্রকল্পের আওতায় কন্যাশিক্ষার্থীদের মাঝে আবেদনপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন। মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শ্রীভূমি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিলকুমার ত্রিপাঠি সহ দলীয় নেতাকর্মী এবং মন্ত্রী নিজ হাতে প্রকল্পের আবদনপত্র বিতরণের সুচনা করলেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল বক্তব্যে বলেন, রাজ্য সরকারের এই বহুল আলোচিত ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন উদ্যোগটি মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে চালু হয়েছে, যার মূল লক্ষ্য অসমের কন্যাশিশুদের শিক্ষার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন, স্বাবলম্বিতা বৃদ্ধি এবং বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপের সম্পূর্ণ অবসান ঘটানো।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এও বলেন, কন্যাশিক্ষার প্রসারই সমাজকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। ‘নিযুত মইনা ২.০’ প্রকল্প শুধু অর্থনৈতিক সহায়তা নয়, এটি আমাদের কন্যাদের ভবিষ্যৎ গঠনের প্রতিশ্রুতি। মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মহাশয়ের এই রূপান্তরমূলক নেতৃত্বের জন্য তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।

এদিনের কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক কন্যাশিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকমণ্ডলী ও দলীয় নেতা কর্মী পঞ্চায়েত প্রতিনিধি সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সবাই মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে অভিনন্দন জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, এর মাধ্যমে রাজ্যের সামাজিক ও শিক্ষাগত অগ্রগতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
সরকারি তথ্য অনুসারে, এই প্রকল্পের আওতায় লক্ষাধিক কন্যাশিক্ষার্থী সরাসরি উপকৃত হবেন। অর্থনৈতিক সহায়তার ফলে তারা পড়াশোনা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারবেন, আত্মনির্ভর হবেন এবং ভবিষ্যতে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করবেন। কেবল অর্থ নয়, ‘নিযুত মইনা ২.০’ প্রতিটি কন্যার জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি গড়ে দিচ্ছে, যাতে তারা বড় স্বপ্ন দেখতে পারে, উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারে এবং নিজের ভাগ্য নিজেই গড়ে তুলতে পারে।

রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যেই আবেদনপত্র বিতরণের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাঁর বার্তায় বলেন, “আমাদের কন্যারা শুধু পরিবারের নয়, গোটা সমাজের গর্ব। শিক্ষা ও স্বাবলম্বিতার মাধ্যমে তারা আগামী আসামের নেতৃত্ব দেবে। শিক্ষাবিদ ও সামাজিক কর্মীরা মনে করছেন, গ্রামীণ ও পিছিয়ে পড়া পরিবারের জন্য এই প্রকল্প হবে এক নতুন আশীর্বাদ।” একদিকে যেমন এটি কন্যাশিক্ষার প্রসার ঘটাবে, অন্যদিকে অকালবিবাহের প্রবণতা হ্রাস করে সমাজকে আরও সুসংঘটিত ও শক্তিশালী করে তুলবে।