বরাকের উন্নয়নে সবাইকে নিয়ে রোডম্যাপ তৈরি করা হবে : কৌশিক
হাইলাকান্দিতে স্কুটি, ল্যাপটপ, সাইকেল বিতরণ____
জনসংযোগ, হাইলাকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ১৪ ডিসেম্বর : বরাক উপত্যকার সার্বিক উন্নয়নে সব দলকে নিয়ে রোড ম্যাপ তৈরি করা হবে। রাজ্যের খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহ, উপভোক্তা, খনি ও বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী কৌশিক রায় শনিবার হাইলাকান্দিতে স্কুটি, ল্যাপটপ ও সাইকেল বিতরণ করে ভাষণ প্রসঙ্গে একথা বলেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জনসাধারণকে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দিতে গত ১১ডিসেম্বর থেকে বিকাশের ১২ দিন নামক কার্যসূচি শুরু করা হয়েছে। এই দিনগুলিতে বিভিন্ন বিভাগের অনুদান আনুষ্ঠানিকভাবে সব জেলায় বন্টন করা হচ্ছে। এর অঙ্গ হিসেবে পড়ুয়াদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব গড়ে তুলতে এবং মেধার বিকাশ সাধনে স্কুটি, ল্যাপটপ, সাইকেল ইত্যাদি অনুদান বণ্টন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী রায় এও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন অসমকে দেশের শ্রেষ্ঠ পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে শামিল করতে। তাই রাজ্যে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির ফিজ মুকুব করা হয়েছে। বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক এবং ইউনিফর্ম দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও নিযুত মৈনা প্রকল্পে ছাত্রীদেরকে মাসিক বৃত্তির টাকা দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী রায় স্কুটির চাবি তুলে দেন। আনন্দরাম বরুয়ার পুরস্কার হিসেবে সাড়ে ১২ হাজার টাকার চেক এবং সাইকেল কন্টনের সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে ভাষণ প্রসঙ্গে জেলা আয়ুক্ত নিসর্গ হিভারে জেলার শিক্ষা বিভাগের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, জেলার ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৭৫০ জন ছাত্রী নিযুত ময়না প্রকল্পে উপকৃত হচ্ছেন।
এছাড়া জেলার এগারোটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী প্রকল্পে পরিকাঠামগত উন্নয়নের জন্য ৫ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যাঞ্জলি প্রকল্পের আওতায় আরও দেড় হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈদ্যুতিক পাখা দেওয়া হয়েছে। জেলা শিক্ষা সেতুর অ্যাপের মাধ্যমে ১ লক্ষ ২০ হাজার ছাত্রছাত্রী এবং ৬ হাজার শিক্ষক উপস্থিতির রেকর্ড নথিভুক্ত করছেন। পড়ুয়াদের ইউনিক আইডি তৈরির কাজ ৭২ শতাংশ এ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জেলা আয়ুক্ত জানান।ভাষা গৌরব সপ্তাহ পালনের সময় দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখা কৃতজ্ঞতা পত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা আয়ুক্ত।
উল্লেখ্য, জেলায় ৭৩০ জন পড়ুয়া স্কুটি লাভ করেছেন। আনন্দ রাম বড়ুয়া পুরস্কার হিসেবে ৫৫৯ জন ,৬৭৮০ জনকে সাইকেল বিতরনের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বিধায়ক জাকির হোসেন লস্কর এবং বিজেপি সভাপতি স্বপন ভট্টাচার্য প্রাসঙ্গিক বক্তব্য পেশ করেন। তাছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে হরিমোহন রাতভর মুন স্বর্ণকার সভায় অংশ নেন।