সিঁদুর নিয়ে ফেসবুকে মুখ খুললেন জুবিন জায়া গরিমা

বরাক তরঙ্গ, ১১ অক্টোবর : ২০ দিন… আমি সত্যিই বেঁচে আছি তো? – ফেসবুকে এমনই লিখেছিলেন জুবিন গর্গের জায়া গরিমা শইকিয়া গর্গ। ভালোবাসার সেই প্রথম দিন থেকে জীবনের শেষ যাত্রা পর্যন্ত জুবিন গর্গের ছায়ার মতো পাশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী গরিমা শইকিয়া গর্গ। শুধুমাত্র মৃত্যু মুহূর্তে তিনি পাশে ছিলেন না।

জুবিন গর্গের এই অকালমৃত্যু কেউই সহজভাবে মেনে নিতে পারছেন না। তাঁর মতো এক সত্তার মৃত্যু কখনওই সাধারণ হতে পারে না – এমনটাই মনে করছেন প্রতিটি অসমবাসী। তাঁর ভক্তদের মতো স্ত্রী গরিমাও এই মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না।

তাই ফেসবুকে আবারো গরিমা লিখেছেন – “এখন মন, মস্তিষ্ক, শরীর, আত্মা — সবকিছুর ভিতর থেকে একটাই কথা উঠে আসছে… আমাদের ন্যায় চাই… জুবিন গর্গের মতো এক অস্তিত্ব অবহেলিত হতে পারে না।”

হ্যাঁ, প্রতিটি জুবিন অনুরাগী আজ ন্যায় চাইছে। ন্যায় পাওয়া উচিত, ন্যায় দিতেই হবে।

ফেসবুক মন্তব্যে গরিমা আরও লিখেছেন –”এই কদিন আমি যেন ঈশ্বরের সঙ্গেই ছিলাম…” আজ সবাই একবাক্যে বলছে – “জুবিন দা আমাদের মাঝে আছেন, থাকবেন।” গরিমা শইকিয়া গর্গ তাঁর সিঁথির সিঁদুর দিয়ে জুবিন গর্গকে জীবিত রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এই নিয়েই একাংশ মানুষ উপহাস করতে শুরু করে।

এই বিষয়ে গরিমা নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারলাম সিঁদুর নেওয়া নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে। প্রথমে ভাবলাম, এই নিয়ে কিছু বলব না। কিন্তু পরে মনে হল, সবাইকে বিষয়টা বোঝানো দরকার। জুবিনের মৃত্যুর পর আমি একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি – সারা জীবন সিঁদুর পরেই থাকব। আমার হৃদয় বলে, আবারও জুবিনকে পাব। আমার পরবর্তী জীবনেও আমি ওঁকেই চাই।”

গরিমা পেশায় একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। প্রথমে জুবিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম, এবং ২০০২ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। সেই থেকে আজীবন জুবিনের ছায়ার মতো পাশে ছিলেন গরিমা।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় অসমবাসীর প্রাণের শিল্পী জুবিন গর্গের। কী পরিস্থিতিতে, কীভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটল, তার তদন্ত এখনও চালিয়ে যাচ্ছে সিআইডি। এখন গোটা অসম, তাঁর পরিবার এবং ভক্তদের একটাই প্রত্যাশা – জুবিন গর্গের মৃত্যুর যথাযথ তদন্ত হোক এবং তাঁকে ন্যায় দেওয়া হোক।

Spread the News
error: Content is protected !!