নির্যাতনের শিকার লোকের কাছে নথিপত্র থাকা ভাবাই অবাস্তব : সুস্মিতা

বরাক তরঙ্গ, ২০ জুলাই : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রণয়নবিধি চালুর চার মাস পরও অসমের মাত্র ৮ জন লোক এর মাধ্যমে আবেদন করেছেন, সম্প্রতি এমনটাই জানান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এ প্রসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তিকে সুরক্ষা দেওয়ার ইচ্ছে বা উদ্দেশ্য কোনওটাই নেই বিজেপির। তাঁরা বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে আগেও ব্যবহার করেছে এবং এখনও করছে।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তিকে সুরক্ষা দেওয়ার ইচ্ছে বা উদ্দেশ্য কোনওটাই নেই বিজেপির____

শুক্রবার শিলচরে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সুস্মিতা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের বয়ান দেন এবং এর পেছনে থাকে তাঁর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।
সম্প্রতি তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী রায় নিয়ে যে বয়ান দিয়েছেন, সেটাও একই উদ্দেশ্যের বহিঃপ্রকাশ। তিনি এসব কথাবার্তার মাধ্যমে তাঁর একটা বিশেষ ভোটব্যাঙ্ককে খুশি রাখতে চান এবং যে সংখ্যা তিনি বলেছেন, এটাই প্রমাণ করে দিয়েছে তিনি কী চান।’

সাংসদ দেব বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার আগেই আমি বলেছিলাম, এর মাধ্যমে নাগরিকত্বের দাবি করতে গেলে আবেদনকারীদের প্রমাণ করতে হবে, তাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। তবে, প্রণয়নবিধি প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি আরও ভয়ানক হয়েছে। তাঁরা বলছেন, কয়েকটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকেরা পার্শ্ববর্তী তিন দেশে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আশ্রয় নিলে তাঁদের সুরক্ষা দেবে এই আইন। কেউ যদি নির্যাতনের শিকার হয় এবং নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেয়, সে ওই দেশের নথি নিয়ে আসতে পারবে, এটা ভাবাই অবাস্তব। বিজেপি এই আইনের নামে রাজনৈতিক ফায়দা লুটেছে এবং এখন দলের নেতারা ফের নতুন ধরনের বয়ান দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। বিশেষ করে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এসব আলটপকা বয়ানের মাধ্যমে এক বিশেষ উগ্র জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট রাখতে চান।

এদিকে, ১৯ লক্ষ লোক এনআরসি থেকে বাদ পড়ে রয়েছেন, সঙ্গে আরও লক্ষাধিক লোক বিদেশি ট্রাইব্যুনালের চক্কর কাটছেন, আর বিজেপি এদের নিয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছে।

Author

Spread the News