পপ সঙ্গীতশিল্পী আমির হোসেন মৃত্যুদণ্ড ইরানের
তাতালুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার খবর দেশটির বিচার বিভাগ অস্বীকার করেছে_____
২১ জানুয়ারি : মহানবীকে চরম অপমান করেছেন, এই মর্মে এবার জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী আমির হোসেন মাগসুদলু তথা আমির তাতালুকে মৃত্যুদণ্ড দিল ইরানের আদালত। ইরানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইসলাম ধর্মের মহানবী হজরত মহাম্মদ-কে অবমাননার দায়ে সুপ্রিম কোর্ট আগে দেওয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করেছে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পুনরায় চালু করা হয় এবং এবার দোষীকে মহানবী-এর অবমাননার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
যদিও ইরানি সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনালের খবরে বলা হয়েছে, তাতালুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার খবর দেশটির বিচার বিভাগ অস্বীকার করেছে। বিচার বিভাগের জনসংযোগ কার্যালয় জানিয়েছে, এখনও কোনও চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়নি।
এর আগেও আমির তাতালুকে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। ৩৭ বছর বয়সী তাতালু ইরানে নিষিদ্ধ একজন পপ গায়ক। এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ছিলেন তিনি। পরে তাঁকে ইরানে প্রত্যর্পণ করা হয় এবং তখন থেকেই তিনি আটক।
এর আগেও আমির তাতালুকে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। ৩৭ বছর বয়সী তাতালু ইরানে নিষিদ্ধ একজন পপ গায়ক। এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নাগাদ তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ছিলেন তিনি। পরে তাঁকে ইরানে প্রত্যর্পণ করা হয় এবং তখন থেকেই তিনি আটক।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তুরস্কে চলে গিয়েছিলেন তাতালু। সেখানে প্রায় ২১টি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। সঙ্গীতশিল্পী তাতালু র্যাপ, পপ এবং সাউন্ড মিক্সিংয়ের জন্য পরিচিত। সাহসী গান এবং সারা দেহে মুখে ট্যাটুর জন্য একাধিকবার বিতর্কের মুখেও পড়েছিলেন।
বিতর্কিত ভাবমূর্তি থাকা সত্ত্বেও তাতালু একসময় রক্ষণশীল ইরানি রাজনীতিকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এমনকি ২০১৭ সালে ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির সঙ্গে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারেও অংশ নেন এই জনপ্রিয় পপ শিল্পী।

