যুদ্ধে জয়, আমেরিকাকে জোর থাপ্পড় কষিয়েছে ইরান : খামেনি

২৭ জুন : গত মঙ্গলবার পশ্চিম এশিয়ার দুই যুযুধান দেশ ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা হয়েছে। তারপর থেকে খামেনেইয়ের তরফে কোনও বার্তা পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই দাবি করলেন যে, যুদ্ধে জয় হয়েছে ইরানের। এখানেই থেমে না থেকে তিনি দাবি করেন যে, আমেরিকার গালে কার্যত জোর থাপ্পড় কষিয়েছে ইরান।

এদিনের পোস্টে তিনি ইরানবাসীকে এই যুদ্ধ জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে লেখেন, “এত হইচই করে, এত দাবি করার পরেও ইহুদি সরকার কার্যত ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের হামলায় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গিয়েছে।” তবে শুধু ইজরায়েল নয় তাঁর কটাক্ষের নিশানায় ছিল আমেরিকাও। তিনি লেখেন, “আমেরিকার গালে সজোরে থাপ্পড় মেরেছে ইরান। আল উদেইদে আমেরিকান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে ইরান। ক্ষতিও করেছে সেখানে।”

খামেনেইয়ের দাবি, আমেরিকা নাকি জানত যে, মার্কিন বাহিনী এই যুদ্ধে না জড়ালে ইজরায়েল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই ইজরায়েলেকে বাঁচাতেই আমেরিকা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু এই যুদ্ধে জড়িয়েও আমেরিকা কিছুই করতে পারেনি বলে এদিন দাবি করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার একটি ভিডিও বার্তায় আমেরিকাকে সতর্ক করেন করেন খামেনেই। তিনি কার্যত হুশিয়ারির সুরে জানিয়েছেন যে, পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলি মোটেও তাঁদের নাগালের বাইরে নেই। আগামীতে যদি ফের ইরানের ওপর হামলা চালায় আমেরিকা তবে তাঁর পালটা ইরানও হামলা চালাবে মার্কিন ঘাঁটিগুলিতে।

প্রসঙ্গত, আমেরিকান বায়ুসেনা ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র ফোরডো, নাতানজ এবং ইসফাহানে বিমান হামলা চালিয়েছিল। তবে এর জবাবে চুপ থাকেনি ইরানও। কাতারের রাজধানী দোহার অদুরবর্তী মার্কিন বায়ুসেনা ঘাঁটি আল উদেইদে হামলা চালায় তেহরান। উল্লেখ্য, এই হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প।

এবারে সেই আমেরিকার বিরুদ্ধে খামেনেইয়ের হুঁশিয়ারি, ‘ক্ষেপণাস্ত্র এবং পরমাণু কর্মসূচির বিষয়টি শুধুমাত্র অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করে ইরানের শত্রুরা। ওরা আসলে চায়, ইরান আত্মসমর্পণ করুক। ইরান আত্মসমর্পণ করলে তবেই আমেরিকা ক্ষান্ত হবে। কিন্তু আমরা কখনও আত্মসমর্পণ করব না। আমরা এক শক্তিশালী রাষ্ট্র।’
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল।

Author

Spread the News