রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ভারতের বিশ্বজয়, কাটল ১১ বছরের খরা
২৯ জুন : ম্যাচের শেষ বলের পর উপুড় হয়ে মাঠে শুয়ে পড়লেন রোহিত শর্মা। কান্নায় ভাসিয়ে দিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। বার্বাডোজে স্টেডিয়ামে ভেসে এল একটাই গান, চক দে ইন্ডিয়া। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ভারতের বিশ্বজয়। কাটল ১১ বছরের খরা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। শনিবার বার্বাডোজে কেনসিংটন ওভালে ৭ রানে জিতলেন রোহিতরা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। হার্দিক পাণ্ডিয়ার বলে বাউন্ডারি লাইনে সূর্যকুমার যাদবের দুর্ধর্ষ ক্যাচ। সাদা বলের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা ক্যাচের মধ্যে নিঃসন্দেহে জায়গা পাবে। মিস করলেই ছয়। সেখানে সবাইকে অবাক করে তালুবন্দি করলেন সূর্য। ম্যাচ পকেটে। পার্থক্য গড়ে দিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। প্রায় হারা ম্যাচ জেতালেন দেশকে। হেনরিচ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলারের দুটো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে ভারতের বিশ্বজয় নিশ্চিত করলেন হার্দিক। ম্যাচের সর্বোচ্চ রান বিরাট কোহলির। ৫৯ বলে ৭৬ রান করেন।
শনিবার দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ফাইনালের আগে ৭ ম্যাচে ৭৫ রান করা বিরাট ফাইনালে করেছেন ৫৯ বলে ৭৬ রান। মূলত কোহলির ব্যাটে ভর করেই ভারত ১৭৬ রানের স্কোর খাঁড়া করে।

রান তাড়া করতে নেমে ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় উইকেটে ট্রিস্তান স্টাবসের সঙ্গে ৩৮ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান ওপেনার কুইন্টন ডি কক। এরপর হেনরি ক্লেসেনের সঙ্গে ২৩ বলে ৩৬ রান করে আউট হন ডি কক।

পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র ২২ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন ক্লেসেন। ৩৬ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৪৫ রান। অক্ষর প্যাটেলকে দুটো চার আর দুটো ছক্কা হাঁকিয়ে ২৪ রান আদায় করে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন হেনরি ক্লেসেন। জয়ের জন্য শেষ ৩০ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩০ রান। কিন্তু এখান থেকেই খেলা ঘুরে যায়। হেনরি ক্লেসেন ও মার্কো জেনসেনের উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ২০ রান। আর্শদীপ সিংয়ের ১৯তম ওভারে মাত্র ৪ রান আসে। জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হতো ১৬ রান। ব্যাট করছিলেন ডেভিড মিলার ও কেশভ মহারাজ। শেষ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ডেভিড মিলার। শেষে জয়ের জন্য ৪ বলে দরকার ছিল ১২ রান। তৃতীয় বলে সিঙ্গল নেন রাবাদা। জয়ের জন্য ৩ বলে প্রয়োজন ছিল ১১ রান। চতুর্থ বলে এক রানের বেশি করতে পারেননি মহারাজ। পরের ডেলিভারি ওয়াইড দেন হার্দিক পান্ডিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য ২ বলে দরকার ছিল ১০ রান। পঞ্চম বলে ক্যাচ তুুলে দেন রাবাদা। শেষ বলে এক রানের বেশি করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।