বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ চাইল
এস চক্রবর্তী, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৩০ নভেম্বর : মণিপুর ইস্যু সহ বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবার সরব হল শিলচর জেলা কংগ্রেস কমিটি। শনিবার দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে শাসক দল বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন জেলা কংগ্রেসের কর্মকর্তারা। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ পাল জানান, বাংলাদেশ গঠন হওয়ার পর থেকেই সেখানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন। যদিও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় হিন্দুদের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে সক্ষম হয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর উগ্র মৌলবাদীর নেতৃত্বে বর্তমানে মহম্মদ ইউনুসের সরকার গঠন হওয়ার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন মঠ-মন্দির সহ গীর্জা ঘর গুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ধিক্কার জনক বলে মন্তব্য করেছেন অভিজিৎ পাল। এধরনের ঘটনা সেদেশের গণতন্ত্রের জন্য শোভনীয় নয় বলেও এদিন জানিয়েছেন তিনি। চিন্ময়কৃষ্ণ স্বামীকে আটক করার পাশাপাশি ইসকনের মতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বয়কট করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।
চিন্ময়কৃষ্ণ স্বামীকে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়ার দাবি তুলে সেখানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা প্রদানে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশ মন্ত্রকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা। এছাড়া মণিপুর ইস্যুতেও এদিন শাসক দল বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন জেলা কংগ্রেসের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ইস্যুতে বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন যেভাবে প্রতিবাদে মুখরিত হয়েছেন তাতে আগামীদিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অভিজিৎ পাল। সাংবাদিক সম্মেলনে সঞ্জীব রাই ও সূর্যকান্ত সরকার সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।