সংস্কৃত সপ্তাহ অনুষ্ঠানের সূচনা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে
পিএনসি, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৬ আগস্ট : আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে সংস্কৃত দিবস উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে সংস্কৃত সপ্তাহের সূচনা হল। শ্রাবণী পূর্ণিমা তিথিতে বিশ্ব সংস্কৃত দিবস উদযাপিত হয়ে থাকে। শ্রাবণী পূর্ণিমার আগের তিন দিন এবং পরবর্তী তিন দিন, মোট ছয় দিন ব্যাপী সংস্কৃত সপ্তাহ পালিত হয়। সংস্কৃত সপ্তাহকে উপলক্ষ্য করে অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে সাত দিন ব্যাপী, ৬ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট, সরল সংস্কৃত সম্ভাষণ বর্গের আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তার সূচনা হলো। অনুষ্ঠান উপস্থিত হয়েছিলেন, সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষ প্রফেসর শান্তি পোখরেল, বিভাগীয় অধ্যাপক ড. গোবিন্দ শর্মা এবং মুখ্য অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর বিশ্বতোষ চৌধুরী। এছাড়াও বিভাগের অতিথি অধ্যাপকবৃন্দ, ছাত্রছাত্রী, গবেষক-গবেষিকা ও অন্যান্য বিভাগ থেকেও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত হয়েছিল। উল্লেখ্য, প্রায় ৬৫ জন ছাত্রছাত্রী এই সম্ভাষণ বর্গে অংশগ্রহণের জন্য পঞ্জীকরণ করেছেন।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। বিভাগের অধ্যক্ষ শান্তি পোখরেল মুখ্য অতিথিকে বরণ করে নেন। সরস্বতী বন্দনা পরিবেশন করেন সংস্কৃত বিভাগের স্নাতকোত্তর প্রথম সত্রের ছাত্রী জয়িতা চক্রবর্তীএবং ধ্যেয় মন্ত্র পাঠ করেন বিভাগীয় ছাত্রী অমৃতা কৈরী। পারফর্মিং আর্টস বিভাগের ছাত্রী সায়ন্তনী চৌধুরী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সংস্কৃত বিভাগীয় অধ্যক্ষ শান্তি পোখরেল সংস্কৃত দিবসের বিষয়ে এবং এই সরল সংস্কৃত সম্ভাষণ বর্গের উদ্দেশ্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বতোষ চৌধুরী সংস্কৃত ভাষার মহত্ব, বর্তমান দিনে সংস্কৃত পড়ার উপযোগিতা বিষয়ে বলেন।
তিনি আরও বলেন, সংস্কৃত শুধু ব্রাহ্মণদের পূজা পাঠের বিষয় নয়, তার সাহিত্যিক সৌন্দর্য ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার দিকেও নজর দেওয়া উচিৎ। এই বর্গের সংযোজক ড. গোবিন্দ শর্মা বলেন, সংস্কৃত যেমন প্রাচীনতম ভাষা, তেমন নবীনতম ভাষাও। এই ভাষা শিক্ষণের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রাচীন গৌরবকে ধরে রাখতে পারব। এবং এই বর্গে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা সংস্কৃতভাষায় যোগাযোগ স্হাপন করতে পারবে। সংস্কৃত বিভাগের অতিথি অধ্যাপক ড. কল্লোল রায় উপস্থিত সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এরপর কল্যাণ মন্ত্র পাঠের দ্বারা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংস্কৃত বিভাগীয় গবেষক তথা সংস্কৃত ভারতী, ত্রিপুরা প্রান্তের সংগঠন মন্ত্রী বিক্রম বিশ্বাস। তিনি এই সম্ভাষণ বর্গের ও শিক্ষক। অত্যন্ত আকর্ষণীয় ভাবে তিনি আজকের প্রথম বর্গ পরিচালনা করেন।