৭৫ বছরে দোহালিয়া দুর্গাবাড়ি পুজো, মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুর হাত ধরে স্মরণিকার উন্মোচন

মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২৮ সেপ্টেম্বর : পঁচাত্তর বছরের গৌরবময় যাত্রা, ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার আর মিলনমেলার আবহ—এই সবকিছুকে সঙ্গে নিয়েই পাথারকান্দির ৫ নং দোহালিয়া দুর্গাবাড়ি প্রবেশ করল তার ৭৫ তম বর্ষে। মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ঢাকের তালে, কাশফুলের দোলায় আর আগমনী গানের সুরে যখন মাতোয়ারা চারপাশ, তখনই রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের হাত ধরে উন্মোচিত হল এই প্রাচীন পুজোর ইতিহাসভিত্তিক বিশেষ স্মরণিকা। এক সন্ধ্যায় যেন একত্র হল ভক্তি, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের এক অনন্য মেলবন্ধন। ধারাবাহিকতার গৌরবময় পথ চলা বজায় রেখে পঁচাত্তর বছরের দীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী এই দুর্গোৎসবকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে আয়োজিত হল বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ অনুষ্ঠান।রবিবার মহাষষ্ঠীর শুভসন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ আগমনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পাথারকান্দি বিধায়ক তথা অসম রাজ্যের মৎস্য, পশুপালন ভেটানারি ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালের হাত ধরে এই স্মরণিকার আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এর আগে তিনি দশভুজা দেবী দুর্গার প্রতিমার সামনে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে উৎসবের শুভারম্ভ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় বিশিষ্টজন ও ভক্তবৃন্দকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল বলেন, দুর্গোৎসব কেবলমাত্র ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান নয়, এটি আমাদের সমাজজীবনের এক মহামিলন। মা দুর্গার পূজার মধ্য দিয়ে আমরা অসুর শক্তির বিনাশ ও সত্যের প্রতিষ্ঠা উদযাপন করি। এই উৎসব আমাদের হৃদয়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও দৃঢ় করে তোলে। সমাজের সকল ভেদাভেদ ভুলে মিলনের এই পবিত্র উৎসব মানুষকে একতার বন্ধনে আবদ্ধ করে।

স্মরণিকা উন্মোচনের পাশাপাশি মন্ত্রী এদিন পাথারকান্দি শহর ও আশেপাশের একাধিক পুজো মণ্ডপে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পুজোর উদ্বোধন করেন। তিনি সাধারণ দর্শনার্থী, উৎসবে শামিল হওয়া ভক্ত এবং দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সন্ধ্যার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় গান, নৃত্য, আবৃত্তি এবং আগমনী সুরে মুখরিত হয়ে ওঠে দুর্গাবাড়ি প্রাঙ্গণ। উৎসবের আবহে মেতে ওঠেন গ্রাম-শহরের অগণিত মানুষ।