সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় শিশু-নারীসহ নিহত ১৩
২৫ আগস্ট : সুদানের দারফুর অঞ্চলে আবারও নিরীহ নাগরিকদের ওপর হত্যাযজ্ঞ ঘটেছে। কুখ্যাত আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) রোববার (২৪ আগস্ট) একদল মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়, এতে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। সুদানের চিকিৎসক ও মানবিক সংগঠনরা এই হামলাকে জাতিগত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানবতাবিরোধী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে এল-ফাশার ও তাউইলা শহরের সংযোগ সড়কে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশু, চারজন নারী এবং চারজন বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছেন। আরএসএফ-এর এই হামলাকে স্থানীয় চিকিৎসা সংগঠন সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক ‘ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা বলেছে, হামলাটি “আরএসএফ কর্তৃক নিরস্ত্র নাগরিকদের বিরুদ্ধে চালানো চলমান জাতিগত নিধন ও গণহত্যার নতুন অধ্যায়” এবং এটি “সমস্ত আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।”
আরএসএফ-এর এই হত্যাযজ্ঞের আগে তারা উত্তর দারফুরের অবরুদ্ধ শহর এল-ফাশারের একটি হাসপাতালেও গোলাবর্ষণ করেছিল। সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, শিশু, নারী এবং বৃদ্ধদের পরিকল্পিতভাবে লক্ষ্য করা প্রমাণ করে যে আরএসএফ নাগরিকদের তাদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক সরানোর নীতি অনুসরণ করছে। হামলাটি “পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক আরএসএফ-কে এই হত্যাযজ্ঞের সম্পূর্ণ দায়ী বলে উল্লেখ করেছে। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আরএসএফ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি, খবর : দৈনিক ইনক্লাব পত্রিকা ডিজিটাল।