ইচাবিল চা-বাগান এলাকায় ধারাবাহিক চুরি, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২৮ আগস্ট : প্রায় দু’মাসের মধ্যে পাথারকান্দি বিধানসভার বাজারিছড়া থানা অধীন ইচাবিল চা-বাগান এলাকায় ধারাবাহিক চুরির ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই সময়ের মধ্যে অন্তত তিনটি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবুও এখন পর্যন্ত কোনো দুষ্কৃতিকারী পুলিশের হাতে ধরা না পড়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ।ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, গত ২৬ জুলাই ইচাবিল পুরাতন শিববাড়িতে প্রথম চুরির ঘটনা ঘটে। এরপর ১৮ আগস্ট স্থানীয় শনি মন্দিরে চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। সর্বশেষ, বুধবার রাতে দুষ্কৃতীরা ইচাবিল কালীবাড়ির প্রণামী বাস্ক ভাঙার চেষ্টা চালায়। তবে তাতে থাকা অর্থ চোরেরা হাতাতে না পারলেও মন্দিরের কিছু বাসনপত্র তারা নিয়ে যায়।স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, একের পর এক চুরি হলেও বাজারিছড়া থানার পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনও দোষীকে গ্রেফতার করতে পারেনি কিংবা চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার করতে পারেনি। অভিযোগ দায়ের করেও ফল না পাওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে।শুধু মন্দিরই নয়, বৃহত্তর বাজারিছড়া থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় গবাদি পশু, এমনকি পথ কুকুর চুরির ঘটনাও প্রায় প্রতিদিন ঘটছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এতে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন গৃহস্থ ও দরিদ্র কৃষকেরা।
অনেকের ধারণা, এলাকায় ছড়িয়ে পড়া তির খেলা ও মাদকাসক্ত পথভ্রষ্ট যুবকেরাই এসব চুরির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তাই মাদক বিরোধী অভিযানের পাশাপাশি তির খেলার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন সচেতন মহল।
স্থানীয় জনগণের মতে, ধারাবাহিক চুরি রোধ করতে হলে এলাকায় রাতের পুলিশি টহল বাড়ানো জরুরি। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে বিডিপি কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করার সুপারিশও করেছেন তাঁরা। তাঁদের বিশ্বাস, সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে সমাজে আবারও শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরে আসবে।