বিশ্ব নারী দিবসে পাঁচজন মহিলাকেবিরল সম্মান জানাল খুশি স্মৃতি সংস্থা

মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ৮ মার্চ : বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে সমাজের পিছিয়ে পড়া পাঁচ জন স্বনির্ভর মহিলাকে সম্মান জানাল শ্রীভূমির খুশি স্মৃতি সংস্থা । শনিবার শম্ভু সাগর উদ্যানে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রদীপ প্রজ্বলন করে সূচনা হয়। এরপর সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। সংস্থার উপদেষ্টা সুব্রত চৌধুরীর পৌরহিত্য সভায় দিনটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে উপদেষ্টা সৌমিত্র পাল বলেন, দেশে নারীদের অবস্থার উন্নতি না হলে দেশও পিছিয়ে থাকবে। এমনটাই মনে করতেন স্বামী বিবেকানন্দ। নারীই একমাত্র শক্তি যা দেশ, সমাজ বদলে দিতে পারে। আজ আর নারীরা দুর্বল নয়, এই পৃথিবীর এগিয়ে চলার চাবিকাঠি নারী।

ডাঃ দেবতোষ পাল বলেন, নারীদের স্নেহ, মায়া, মমতা এবং করুণা আমাদের সভ্যতার সম্পদ। এই কথা যেন ভুলে না যাই। বাড়ি আর বাইরের জগতে দুই স্থানেই আজ সমান দক্ষতায় লড়াই করে চলেছে নারীরা। তাদের এই লড়াইকে কুর্নিশ জানাই। নারীদের স্নেহছায়া আর যত্ন একটি শিশুর বড় হওয়ার জন্য জরুরি। আর শিশুরাই দেশ ও সমাজের ভবিষ্যত। একটি সভ্যতার ভবিষ্যতনির্মাতা।

জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি আশিস নাথ বলেন, নারীদের অনবরত ত্যাগ রয়েছে বলেই আজ সভ্যতা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছে। নারীদের এই অবদান কোনও মতেই ভুলে যাওয়ার নয়। নারী ছাড়া একটি ঘর, একটি দেশ, একটি সভ্যতা চিরকাল অর্থহীন হয়ে থেকে যায়। তাই নারীদের সম্মান দিতে, যোগ্য মর্যাদা সবার আগে দেওয়া উচিত।

বিশ্ব নারী দিবসে পাঁচজন মহিলাকেবিরল সম্মান জানাল খুশি স্মৃতি সংস্থা

সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, মা, বোন, সহধর্মিণী হোক বা বন্ধু, নানারূপে নারীরা আমাদের জীবনে নিরন্তর অবদান রেখে চলেছেন। নারী দিবস তাদের সেই অবদান স্মরণ করার দিন। পুর কমিশনার বর্ণালী দত্ত বলেন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের সমান অধিকার ও সুবিধা প্রাপ্য। আজকের দিনে সেটাই হোক অঙ্গীকার। প্রতি মহাপুরুষের নেপথ্যে এক মহিয়সী নারীর অবদানথাকে। ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে এই সত্য। সমাজসেবিকা কৃষ্ণা মেমন দেব বলেন, আজ খুশি স্মৃতি সংস্থার যে পাঁচজন নারীকে নানা স্থান থেকে বের করে এনে এক মঞ্চে তাঁদের সম্মান জানানো হয় এতে তারা নয় গোটা সমাজ সম্মানিত হয়েছেন তাঁদের কঠোর পরিশ্রম করে তাঁরা যেভাবে সংসার চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বীর গাঁথা কাহিনী স্মরনীয় হয়ে থাকবে।

সংবর্ধিতরা হলেন বেবি সরকার, প্রবাসী নমশূদ্র, অর্চনা পাল ও পাপিয়া দে। খুশি স্মৃতি সংস্থার পক্ষ থেকে উত্তরীয়, সম্মাননাপত্র, দুর্গার মূর্তি ও একটি শাড়ি তুলে দেওয়া হয়।
তাছাড়া প্রায় শতাধিক নারীকে নারীদিবসের সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। উপহার সামগ্রী তুলে দেন  শ্রাবণী পাল, মঞ্জুরি চৌধুরি, মৌসুমী দাস বণিক, সোনালি গোস্বামী। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন ড. অর্পিতা দাস, অজন্তা নন্দী, তুহিনা দাস, সংঘমিত্রা রায়,মৌসুমী ভট্টাচার্য, উমা পাল, বর্ণিতা সেন, সুমিতা দাস, রনজিৎ দেব ভানু। অনুষ্ঠানে ঘোষকের ভূমিকায় ছিলেন অরূপ রায়।

Author

Spread the News