ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচিত হয়ে নাগরিকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সম্মাননা ও মিষ্টিমুখ
মোহাম্মদ জনি পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ১৬ মে : পাথারকান্দির পুরাহুরিয়া সুতারকান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর বড়-পুরাহুরিয়া ওয়ার্ডে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন রুহেলা বেগম। তবে সক্রিয় প্রতিনিধি হিসেবে সামনে এসেছেন তাঁর স্বামী ও বিগত কার্যকালের ওয়ার্ড সদস্য সিহাব উদ্দিন। তাঁর পুনরায় নেতৃত্ব পাওয়া এবং জনগণের আস্থা অর্জনের খবরে গোটা ওয়ার্ডজুড়ে বইছে আনন্দের জোয়ার। বৃহস্পতি রাতে, বড়-পুরাহুরিয়া ওয়ার্ডের বিশিষ্ট নাগরিক ও প্রবীণদের নিয়ে এক আন্তরিক কৃতজ্ঞতা সভার আয়োজন করেন সিহাব উদ্দিন। স্থানীয় শিক্ষক আবুল এনাম চৌধুরীর বাসভবনে আয়োজিত এই সভায় প্রায় অর্ধশতাধিক নাগরিকের উপস্থিতি ছিলেন।
সভা শুরুতেই উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সিহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, “আপনারা আমাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে খরচ করাননি বরং নিঃশর্তভাবে মনোনীত করেছেন—এই ঋণ আমি কখনও শোধ করতে পারব না। আপনাদের আস্থা ও ভালোবাসার জন্য আমি আজীবন কৃতজ্ঞ।”
তিনি আরও জানান, “ডিলিমিটেশনের ফলে নতুন করে গঠিত এই ওয়ার্ডে চারটি গ্রামের অংশ বিশেষ একত্রিত হলেও জনগণের ঐক্য ও সমর্থন আমাকে আলাদাভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। আগামী পাঁচ বছর এই বিশ্বাস ধরে রাখতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সভায় সিহাব উদ্দিন গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতির নির্বাচনের প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, “আমার কাছে সভাপতি পদে ভোট দেওয়ার জন্য ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকার প্রলোভন এসেছিল। কিন্তু আমি জনগণের প্রতিনিধি—বিক্রি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ওয়ার্ডবাসীর সিদ্ধান্তই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।” এ পর্যায়ে উপস্থিত সকলে ১ নম্বর কলিমা ওয়ার্ডের সদস্য এবং প্রাক্তন সভাপতি ইসফাক আহমেদ চৌধুরীকে সমর্থন জানান।
সভা শেষে ওয়ার্ডের প্রায় ২০জন প্রবীণ নাগরিককে অসমিয়া গামছা পরিয়ে সম্মান জানান সিহাব উদ্দিন। এর পরপরই এলাকাবাসী তাঁকে মালা পরিয়ে বরণ করে ও মিষ্টিমুখ করিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
