হানিট্র্যাপের শিকার বাংলাদেশের সাংসদ! লাশ টুকরো করে ট্রলিতে
২৩ মে : বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ‘হানিট্র্যাপ’! ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে এল তেমনই তথ্য। আনোয়ারুল আজিমকে কলকাতায় খুনের ঘটনা জানাজানির পর শিলাস্তি রহমান নামে এক নারীর নাম সামনে এসেছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সাংসদকে হত্যার জন্য কলকাতার নিউটাউনে অভিজাত ‘সঞ্জীবনী গার্ডেনে’র যে ট্রিপ্লেক্স ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ছিলেন ওই নারী। তাঁর কথা বলে অর্থাৎ ‘হানিট্র্যাপে’র টোপ দিয়ে বরানগর থেকে নিউটাউনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পর ঘটে হত্যাকাণ্ড।
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, নিউটাউনের ওই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে যাওয়ার পর আনোয়ারুলকে শাহিনের বকেয়া টাকার জন্য চাপ দেন আমানুল্লাহ ও তার সহযোগীরা। একসময়ে সাংসদের গলায় চাপাতি ধরেন আমানুল্লাহ। এনিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। পরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়। এর পর মূল হোতা শাহিনকে জানানো হয়, মিশন কমপ্লিট। শাহিন মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে আমানুল্লাহ তাঁর লাশ কেটে টুকরো করে। বাইরে থেকে কিনে আনা হয় সাদা পলিথিন, ব্লিচিং পাউডার ও দুটি বড় সাইজের ট্রলি ব্যাগ। লাশ টুকরো করার পর তা ঢোকানো হয় পৃথক দুটি ট্রলিতে। লাশের টুকরোগুলো ব্যাগে ঢোকানোর পর বাইরে থেকে আনা ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ওই ফ্ল্যাটের মেঝে পরিষ্কার করে ফেলা হয়। কিলার গ্রুপের সদস্য সিয়ামকে এই ট্রলি তুলে দেওয়া হয়। সিয়াম একটা গাড়িতে উঠে কিছু দূর যাওয়ার পর সেটি নিয়ে নেমে যান। এর পর এই ব্যাগ কোথায় নিয়ে গেছেন, তা আর জানাতে পারেননি আমানুল্লাহ।
আজিম গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। প্রথমে বরাহনগরে এক বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন তিনি। দু’দিন পর সেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। ১৪ মে থেকেই মোবাইলে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। যে বন্ধুর বাড়িতে আজিম উঠেছিলেন, তিনি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। আজিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তাঁর পরিবারের সদস্যেরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর : সংবাদ প্রতিদিন।