এপিসিসি চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস ইটখলা এসি-র, বাজি পটকা পুড়িয়ে উল্লাস
এই জয় শিলচরবাসীর : বিজয়েন্দ্র
ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৫ এপ্রিল : বরাকের আর কোনও ক্লাব যা করতে পারেনি, আজ সেটা করে ইতিহাস গড়ল শিলচরের ঐতিহ্যবাহী ইটখলা অ্যাথলেটিক ক্লাব। গুয়াহাটির জাজেস ফিল্ডে আসাম প্রিমিয়ার ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের (এপিসিসি) মূলপর্বের ফাইনালে বরপেটার ত্রিরঙ্গা ক্রিকেট কোচিং সেন্টারকে ১ উইকেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল তারা। ফলে ট্রফি সহ ১০ লক্ষ টাকা প্রাইজমানি পেয়েছে ইটখলা।
এত অল্প রানের একটি ম্যাচ শেষ হতে হতে অনেকেই একাধিক নখ কামড়ে সাফ করে ফেলেছেন যা ভাবতেও অবাক লাগে। কিন্তু বাস্তবে সেটাই হয়েছে। ২৯.১ ওভারে মাত্র ৯৭ রানে ত্রিরঙ্গাকে অলআউট করে দিয়েছিল ইটখলা এসি। কিন্তু জয়ের জন্য তাদেরও খোঁড়াতে হলো। ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১.২ ওভারে ১০১ রান করল শিলচরের ক্লাবটি। ৮৩ রানে নবম উইকেটের পতন ঘটলে অভয় কুমার যাদব এবং ঋত্বিক ধর বাকি রানগুলি সংগ্রহ করেন। অভয় ১৩ এবং ঋত্বিক ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ইটখলার দুই ওপেনার রামচন্দ্র দাস ও সৌরভ সাহা ১৬ রান করে করেন। ইক্রামুল আলি করেছেন ১০ রান। বাকিরা আরও কম। অতিরিক্ত থেকে এসেছে সর্বাধিক ১৭। ত্রিরঙ্গা ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের দীপঙ্কর পাল ১৯ রানে ৬ উইকেট নিলেও ম্যাচ জেতাতে পারলেন না।
এছাড়া দুই উইকেট পেয়েছেন পৃথ্বীশ রাহা রায়। এর আগে ত্রিরঙ্গাকে ৯৭ রানে আউট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শিলচরের উদীয়মান স্পিনার ঋত্বিক ধর। ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। একজোড়া করে উইকেট পেয়েছেন হর্ষ কুমার, ইক্রামুল আলি এবং সাদেক ইমরান চৌধুরী। ত্রিরঙ্গা ক্রিকেট কোচিং সেন্টারের ব্যাটসম্যান কবীর হাসান দেশমুখ এদিন একপ্রান্ত আগলে ধরে ৪১ রান করেন। উভয় দলের আর কোনও ক্রিকেটার তাঁর অর্ধেক রানও করতে পারেননি। ১৭ রান করেছেন রঞ্জন বিকাশ দাস।
এদিকে, ইটখলা এসি- র এই জয়কে রোমাঞ্চকর জয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছে এসিএ। খেলার গুণগত মানের প্রশংসা করেছে দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এসিএ সচিব ত্রিদিব কোঁওর। ট্রফি ও নগদ অর্থ পুরস্কার তুলে দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিসিসিআই-র সচিব দেবোজিৎ শৈইকিয়া।
উল্লেখ্য, টানটান উত্তেজনায় ম্যাচটি শেষ হতেই ইটখলা সহ শিলচরে ক্রিকেটপ্রেমীদের উল্লাস চোখে পড়ে। ইটখলা ক্লাবের সামনে বাজি পটকা পুড়তে থাকে। ক্লাব কর্মকর্তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন ও মিষ্টিমুখ করান। প্রাক্তন সচিব বিজয়েন্দ্র প্রসাদ সিং এই জয়কে নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে গোটা শিলচরের জয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ আসাম থেকে এধরনের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া অনেক গৌরবের। এখানে অনেক ক্লাব রয়েছে ভবিষ্যতে এভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এই উপত্যকাকে গৌরবান্বিত করবে। ফোনে আলাপলচারিতার পরিসরে বিজয়েন্দ্র সিং এও বলেন, গত বছরও ইন্ডিয়া ক্লাব জেতার মতো পজিশনে ছিল। ভাগ্য সহায় ছিল না বলেই টসে হারতে হয়েছে। এবারে তাদের ইটখলা ক্লাব সে খরা কাটাতে সক্ষম হয়েছে।